সবধরণের সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে কার্যত রাজনীতিবিদের ভূমিকায় ফের অবতীর্ণ হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকর জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন রাজ্যপাল। বিধানসভার এই চত্বর মোটেই সাংবাদিক সম্মেলনের জায়গাও নয়, সময়ও নয়। সঙ্গত কারণেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই স্পিকার বলেন, এটা সাংবাদিক সম্মেলনের জায়গা নয়, সময় নয়। সর্বোপরি রীতিও নয়। কিন্তু রাজ্যপাল বিজেপির ‘মুখপাত্রর’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। বাংলা নাকি গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার। বাংলায় পুড়িয়েও মারা হচ্ছে। চাকরিও দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের কোনও রিপোর্ট আসে না।মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ বাংলার আইনশৃঙ্খলা মোটেই গণতন্ত্রের সহায় নয়। বাংলার কোনও কিছুই ঠিক নেই।
আরও পড়ুন:SSC: এসএসসি দুনীতি মামলায় এবার সিবিআই-এর সঙ্গে ইডিও
যা শুনে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তুনু সেন বলেছেন, একথা নতুন কী? রাজ্যপাল বিজেপির অলিখিত মুখপাত্র এবং রাজভবন হচ্ছে বিজেপির হেড অফিস। ফলে রাজ্যপালের থেকে এর থেকে ভালো কোনও কথা বাংলার মানুষ আশাও করেন না। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ ,কিন্তু সেই সাংবিধানিক পবিত্রতা কার্যত রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের যেখানে যা ঘটনা ঘটেছে, মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আসলে সেটাই অসুবিধে হয়ে গিয়েছে বিজেপির। সেই কারণে কেন্দ্রের এজেন্সি সিবিআই মাঠে নেমে পড়েছে। আর তার সহোদর হিসেবে কাজ করছেন বাংলার রাজ্যপাল। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যা লজ্জাকর।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.