রাজনৈতিক স্বার্থে ED, CBI-এর ব্যবহার: পার্টি কংগ্রেসে মমতার সুরে সরব ২ মুখ্যমন্ত্রী

0
1

‘মোদি সরকার ভেঙে ফেলতে চাইছে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো। রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে।’ এই অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সরব হয়ে উঠলেন দক্ষিণের দুই মুখ্যমন্ত্রী তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন(MK Stalin) ও কেরলের পিনারাই বিজয়ন(Pinarai Vijayan)। পার্টি কংগ্রেস(Party Congress) উপলক্ষে কান্নুরে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে সিপিএম। সেখানেই স্পষ্ট ভাষায় তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ইডি, সিবিআইকে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পক্ষে ভয়ঙ্কর।

মোদি সরকার যে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে, মমতার এই অভিযোগকে আগেই সমর্থন জানিয়েছিল অবিজেবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিন পার্টি কংগ্রেস উপলক্ষ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে সিপিএম। সেখানেই বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। পাশাপাশি দলের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সেখানে উপস্থিত হন কংগ্রেস সাংসদ কে ভি থমাস। এখানেই মুখ্যমন্ত্রীরা জানান, শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সি নয় বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালরাও রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে স্ট্যালিন অভিযোগ করেন, রাজ্যগুলিকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই সরকার জিএসটি চালু করার পর রাজ্য থেকে সমস্ত কর আদায় করে দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্যের পাওনা মেটাচ্ছে না। তামিলনাড়ু সরকার জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকা পায় বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন:‘রেফার’ আর ‘লামা’-র আক্রান্ত রাজ্যের হাসপাতাল , কড়া দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর

শুধু তাই নয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও সরব হয়ে স্ট্যালিন বলেন, “কেন্দ্রের একজন প্রতিনিধি রাজভবনে বসে থাকেন। সেখান থেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করতে তিনি বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। যা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক।” এপ্রসঙ্গে জ্যোতি বসুর মন্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “এক রাজ্যপাল সম্পর্কে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুপুরী তৈরি করেছেন। যাতে গণতন্ত্রকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে দাঁড় করাতে পারেন।” এই মঞ্চেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পাশাপাশি এই মঞ্চে পিনারাই বিজয়ন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্র ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলতে চায়। এক দেশ, এক আইন ও এক ভাষার কথা বলে ওরা। এই দর্শন দেশের গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করছে।” সবমিলিয়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতার সুরেই সুর মেলালেন দক্ষিণের দুই মুখ্যমন্ত্রী।