ওমিক্রন দশা: বঙ্গ সিপিএমকে করোনা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে তুলনা পার্টি কংগ্রেসে

0
1

কেরলের(kerala) কান্নুরে শুরু হয়েছে সিপিএমের(CPIM) পার্টি কংগ্রেসের(Party Congress) ২৩ তম সম্মেলন। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়া এই সম্মেলন চলবে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। আর এই সম্মেলনেই আলোচনায় বঙ্গ সিপিএমকে তুলনা করা হল করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সঙ্গে। যদিও এটি কারও শারীরিক অসুস্থতা নয়। বঙ্গ সিপিএমের দলীয় সদস্যদের পার্টির কাজে নিষ্ক্রিয়তার ব্যাধি। আর এই ব্যাধিকেই তুলনা করা হল ওমিক্রনের(Omicron) সঙ্গে।

সূত্রের খবর, পার্টি কংগ্রেসের আলোচনা সভায় অঙ্গ সিপিএমের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরা হয় পার্টি কংগ্রেসের খসড়া দলিলে। যেখানে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৮ সালে হায়দরাবাদে পার্টি কংগ্রেস হয়েছিল। ৪ বছর পর সেটা হচ্ছে কান্নুরে। হায়দরাবাদে আর কান্নুরে পার্টি কংগ্রেসের মধ্যে ব্যবধান থাকা সময়ে বঙ্গের পার্টি সদস্য কমেছে ৪৮ হাজার ৯৬জন। যা উদ্বেগজনক বলেই মত নেতৃত্বের। যে কোনও কমিউনিস্ট দলের মূল ভিত্তি কৃষক ও শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু বঙ্গ সিপিআইএমের সেই ভিত্তিও গঙ্গাপ্রাপ্তির পথে এগোচ্ছে, তাও উঠে এসেছে খসড়া দলিলে।

আরও পড়ুন:AIIMS-এর চিকিৎসকদের দিয়ে অনুব্রতকে পরীক্ষা করানোর আবেদন আদালতে করতে পারে CBI

ওই রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, বঙ্গ সিপিএমে ছাত্র যুবদের মধ্যে থেকে দলীয় সদস্য হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। অথচ, কৃষক, শ্রমিক ও ক্ষেতমজুরদের তরফে দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যা দলের জন্য বিপদের পূর্বাভাস বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই রোগ মুক্তির উপায় কী? সে বিষয়ে কোনও সমাধানে আস্তে পারেননি দলীয় সদস্যরা। তবে যে মতামত উঠে এসেছে সেখানে বলা হয়েছে, নিয়মিত ব্যবধানে কর্মসূচি দলীয় সদস্যদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা কাটাতে পারে। আর সেই চেষ্টাই করতে হবে। যদিও তা কতদূর সফল হবে তা নিয়ে সন্দিহান শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ এর আগে এবিষয়ে সংগথনের বিভিন্ন স্তরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে তবে কোনও সমাধান আসেনি।

যদিও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, করোনাকালে তাঁদের তরুণ ব্রিগেড যেভাবে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা প্রশংসনীয়। যদিও তার সুফল নির্বাচনে পড়তে দেখা যায়নি। এমনকি রেড ভলিন্টিয়ারের তরুণ মুখদের নির্বাচনে দাঁড় করালেও মানুষ ভোট দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ সিপিএমের হাল কীভাবে ফিরবে তা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। পাশাপাশি বঙ্গ সিপিএমের এই নিষ্ক্রিয়তাকে ওমিক্রনের থেকেও ভয়াবহ বলে মনে করছে সংগঠন।