Srirampore: মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে স্থাপন করা হল ঠাকুর,মা,স্বামীজির মূর্তি!

0
1

সুমন করাতি

শ্রীরামপুরের(Srirampore) ঐতিহাসিক মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath temple in Mahesh)স্থাপন করা হলো ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের (Sri Sri Ramakrishna Paramhansha)মূর্তি। আজ রবিবার বিশেষ পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। মন্দির প্রাঙ্গনে মা সারদা (Maa Sarada) এবং স্বামী বিবেকানন্দের (Swami vivekananda) মূর্তিও স্থাপন করা হয় আজ।

প্রসঙ্গত শ্রীরামপুরের ঐতিহাসিক মাহেশের জগন্নাথ মন্দির শুধু শ্রীরামপুরবাসির জন্য নয় জেলা তথা রাজ্যের কাছেও ঐতিহ্যের পরিচায়ক। ২০১৯ সালে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মাহেশে পৌঁছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)ঘোষণা করেছিলেন যে প্রায় ৬২৫ বছরের ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির কে সংস্কার করে বাংলার পর্যটন মানচিত্রে একটি বিশেষ স্থান দেওয়া হবে । সেইমত শুরু হয়ে যায় কাজ। জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান পিয়াল অধিকারী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী দু’বছরের মধ্যেই মাহেশের জগন্নাথ মন্দির নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। পালটে গেছে সংলগ্ন এলাকাও।

 

শুধু জগন্নাথ মন্দিরের মূল মন্দির নয়, পাশাপাশি এখানে অন্যান্য যে সমস্ত দেবদেবীর মন্দির ছিল সেই সব কিছুরই আমূল সংস্কার করা হয়েছে। এবার মন্দিরের মুকুটে নতুন পালক। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ মা সারদামণি এবং স্বামী বিবেকানন্দের মর্মরমূর্তি স্থাপিত হল ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দিরে। পিয়াল বাবু জানান, এই মন্দিরে ঐতিহাসিক রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন সময়ে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দ এই মাহেশে পদার্পণ করেছিলেন। সেই কথা মাথায় রেখে এক ভক্ত সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূর্তি এখানে স্থাপন করলেন।


এ বিষয়ে বলতে গিয়ে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়এর উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আজ এখানে আমার হাত ধরেই তিন মহাপুরুষের মূর্তি স্থাপন হলো। তবে আমি কেউ নয় সবই উপরওয়ালার ইচ্ছায় এটা হয়েছে, আর আমার মা তাঁর বহুদিনের মনের ইচ্ছা ছিল মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে এই তিন দেবতার মূর্তি স্থাপন করা। ছোট থেকে আমি প্রভু জগন্নাথের পরম ভক্ত ।প্রতিবছর রথের সময় আমি এখানে আসতাম রথের দড়ি স্পর্শ করতে। আজ আমার সেই ইচ্ছা সফল হল।”

উল্লেখ্য আজকের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় ভক্তদের মধ্যে বিপুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ পূজা,হোম যজ্ঞের পর দুপুরে ভক্ত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।