ঝালদার কংগ্ৰেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের কারণ পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তদন্তের জাল প্রায় গুটিয়ে জানালেন পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন। এই খুনের পিছনে শাসকদল জড়িত বলে কোনও প্রমাণ ছাডা়ই প্রথম থেকে গলা ফাটায় কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলকে বদনাম করার তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে পুলিশ সুপার জানিয়ে দিলেন স্রেফ পারিবারিক সংঘাতের কারণে খুন হয়েছেন তপন। সাত লক্ষ টাকায় সুপারি কিলার দিয়ে মৃতের দাদা নরেন কান্দু (Naren Kandu) খুন করিয়েছেন তাঁকে। তবে, ধৃত সুপারি কিলার কলেবর সিং নিজে গুলি চালিয়েছিল, নাকি তার সঙ্গে থাকা অন্য কোনও দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছিল সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ঘটনায় আরও চারজন যুক্ত আছে। তাদের গ্ৰেফতার করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। খুনিরা যে বাইকটি ব্যবহার করেছিল, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে খুনে ব্যবহৃত বন্দুক এখনো উদ্ধার হয়নি। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, খুনের মোটিভ পরিষ্কার। বেশ কয়েকবছর ধরে দুই ভাইয়ের পরিবারে অশান্তি ছিল। সেই অশান্তির জেরেই খুন।
তপন কান্দু খুনের ঘটনা ঘিরে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ তুলছিল কংগ্ৰেস। কিন্তু এদিন তদন্তের মোড় তাদের চুপ করিয়ে দিয়েছে। যদিও কংগ্ৰেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাত হাইকোর্টে আবেদনের কথা বলেন।
কিন্তু এদিন পুলিশ সুপার জানান, নিহত কাউন্সিলর এবং অভিযুক্তের পরিবার ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তদন্তে রাজনীতি মেলেনি। বহুদিন আগে সুপারি কিলার কলেবর সিং ঝালদায় থাকতেন। তখন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্টতা ছিল আসিফ খানের। অভিযুক্ত নরেন কান্দুও তাদের পরিচিত। আসিফ খানের মাধ্যমেই খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় নরেনের।
পুলিশ জানিয়েছে, এই রহস্যের জট খুলেছে। তবে অভিযুক্ত আরও চারজন এখনও অধরা। ফলে তদন্ত শেষ হয়নি। পলাতক চারজনকে ধরার পর সমস্ত প্রমাণ পুলিশ প্রকাশ্যে আনবে।
আরও পড়ুন- মিঠুন? এখনও রাজনীতিতে আছেন নাকি? মোক্ষম খোঁচা শত্রুঘ্নর