কফিল খানের কনভয়ে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের তল্লাশি

0
3

অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি, উত্তর প্রদেশের বিধান পরিষদ নির্বাচনে কফিল খানকে  প্রার্থী করল সমাজবাদী পার্টি।  ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রোষের শিকার হয়েছিলেন এই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কাজে অবহেলার অভিযোগ এনে যোগী সরকার তদন্ত কমিটির সুপারিশের অছিলায় ডাঃ কফিল খানকে বরখাস্ত করেছিল। মিথ্যা মামলায় তাঁকে জেলেও পাঠানো হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই কফিল খানকে উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদ নির্বাচনে দেওরিয়া-কুশিনগর আসন থেকে প্রার্থী করেছে সমাজবাদী পার্টি।

প্রার্থী হওয়ার পরে দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ। বুধবার সকালে ডঃ কফিল খানের কনভয় যখন প্রচারে যাচ্ছিল তখন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাধা দেয়। কালো টাকা ধরতে তার কনভয়ে অভিযান চালানো হলেও, পুলিশ গাড়িতে বসা লোকজনকে তল্লাশি করে  মাত্র ২০০ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। একটি টুইট বার্তায়, ড: কফিল তার  উপর পুলিশি পদক্ষেপের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যে ‘আমি এখানে অনুদান চেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি । অথচ অভিযোগ আমার গাড়িতে নাকি এক বস্তা টাকা আছে’। পাশাপাশি, কফিল খান নিজের আর একটি ভিডিও টুইট করেছেন যে তিনি তার জীবনের একটি নতুন সূচনা হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেছেন, আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কফিল খান কিছু নম্বরও বলেছেন যেগুলোতে টাকা পাঠিয়ে তাদের সাহায্য করা যেতে পারে। আগামী ৯ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরিষদের ৩৬ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদে ১০০টি আসন রয়েছে। বিধানপরিষদের সদস্যদের মর্যাদা বিধায়কের সমতুল্য।