পাহাড় তাঁর পরিবার। পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। এটা বারে বারে বলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের ম্যালে সরকারি প্রকল্প প্রদান অনুষ্ঠানে ফের পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের একটি সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাহাড়কে তিনি ভালবাসেন। এমনকি, পাহাড়ের মেয়েকেই বাড়ির বউ মা করে আনছেন বলেও ভরা সভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পরিবারের একজনের বিয়ে দিচ্ছি। পাহাড়ের পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গেই তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাহাড়কে ভালবাসি, তাই পাহাড়ের মেয়েকে ঘরের বউ করে আনছি। আপনাদের বাড়ি আমার বাড়ি। এখন আমার বাড়ি আপনাদের বাড়ি। আমিও আপনাদেরই বাড়ির মেয়ে।’’

দার্জিলিংয়ের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা বোঝাতে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ের মেয়েদের হাসি কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসির মতো। পাহাড়কে বাড়ির মেয়ের মতো আমি সহযোগিতা করব। মহিলাদের সম্মান করতে হবে। যে পরিবারের মহিলারা সুখী সেই পরিবারও সুখী। যে দেশে মহিলাদের উন্নতি হয়, সেই দেশেরও উন্নতি হয়।”

একইসঙ্গে পাহাড়ে চা বাগান শ্রমিকদের উন্নয়নে তৃণমূল সরকার যে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করেছেন, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে মাত্র ৬৭ টাকা মজুরি ছিল চা বাগান শ্রমিকদের। কিন্তু এই সরকারের আমলে তা অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ২০২ টাকা। আগে চা বাগান বন্ধ হলে ৬ মাস পর ৫০০ টাকা করে পেতেন কর্মীরা। এখন ২ মাসের মধ্যে দেড় হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ম্যালের সভা থেকে জানিয়েছেন, পাহাড়ের ২৫০টি চা বাগানে প্রায় ৩ হাজারের বেশি পরিবারকে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের আওতায় এনে বাড়ি বানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। হেল্থ কার্ড, রেশন, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুন- এশিয়ার ৯ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের চরম সীমায় পৌঁছে দিয়েছে ‘করোনা’!


































































































































