সোমনাথ বিশ্বাস (দার্জিলিং): দার্জিলিং সফরের দ্বিতীয় দিনেও কয়েক হাজার মিটার খাড়া পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে প্রাতঃভ্রমণ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ১৫ কিলোমিটার হাঁটার পর এদিনও
প্রায় ১২ কিলোমিটার চড়াই-উতরাই পথে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়বাসীর সঙ্গে যেমন জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, একইভাবে এ রাজ্য ও ভিন রাজ্যের পর্যটকদের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময়ও করেছেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিচমন্ড হিল থেকে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। পাহাড়ি পথে অনেক উঁচুতে হেঁটে জলাপাহাড় এলাকায় যান ৷ মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে হেঁটে আসছেন জেনে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ভিড় জমে যায় রাস্তার দুপাশে। মুখ্যমন্ত্রী এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান তাঁদের হালচাল।

অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাঙালি পর্যটকরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে “দিদি দিদি” ডাক দিতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সকলের সঙ্গেই হেসে সৌজন্য বিনিময় করেন এবং জানতে চান তাঁরা কে কোথায় থেকে বেড়াতে এসেছেন? কেউ জানান ব্যারাকপুর, কেউ জানান বেহালা আবার কেউ বলেন আসানসোল থেকে এসেছেন তাঁরা। অনেকের তো আবার মুখ্যমন্ত্রীকে হঠাৎ চোখের সামনে দেখে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অনুভূতি। এদিনও মুখ্যমন্ত্রী পথচলতি বাচ্চাদের হাতে চকলেট তুলে দেন। স্নেহভরে আদর করেন।
আরও পড়ুন:Mamata: যতবার পাহাড় হেসেছে, ততবার বাইরে থেকে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে: তোপ দাগলেন মুখ্য়মন্ত্রী
মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণের সময় জলাপাহাড়ের কাছে একঝাঁক ভিন রাজ্যের পর্যটক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আপ্লুত। “বাংলায় দারুন উন্নয়ন হয়েছে, খুব সুন্দর জায়গা”, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন তাঁরা। এঁদের কেউ গোয়া থেকে এসেছেন, কেউ হরিয়ানা আবার কেউ এসেছেন মুম্বই থেকে। দার্জিলিং তাঁদের দারুন লেগেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান ভিন রাজ্যের পর্যটকরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কালিম্পং, ট্যুরিজম পার্ক ঘুরে আসারও অনুরোধ জানান। কলকাতাতেও বেড়াতে আসার জন্য বলেন ভিন রাজ্যের পর্যটকদের।
পথে একটা জায়গায় বেশকিছু কলেজ পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ছবি তোলার আবদার করতে থাকেন। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খুব একটা ছবি তোলেন না। তবে এক্ষেত্রে ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলির কথা ফেলতে পারেননি তিনি। তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।
যদিও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নেহাতই হাঁটা নয়। এদিনও ফোনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তিনি একাধিক নির্দেশ দিতে থাকেন। পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতেই মিরিকের উন্নয়নের জন্যও পরিকল্পনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।












































































































































