জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় পাহাড়ের দলগুলির, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে অজয়-অনীত-হরকা

0
6

আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের মূল এজেন্ডা-ই হল জিটিএ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় দলগুলির মতামত নেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা। এবং আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের স্থানীয় প্রতিটি দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং বৈঠক শেষ মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার জানিয়ে দেন, বলেন, প্রায় প্রতিটি দল দ্রুত জিটিএ নির্বাচন চাইছে। একইসঙ্গে কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিকের পুরসভা নির্বাচনে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পৃথক রাজ্য বা গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধি রোশন গিরি। এদিন রোশন গিরি জানান, জিটিএ নির্বাচন নিয়ে এখনও তাঁদের দলের অন্দরে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছে তাঁরা। রোশন গিরি আরও জানান, বিজেপির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক তাঁদের নেই। বিজেপি পাহাড়ের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে।

তবে প্রাক্তন বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পার্টি, অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, অজয় এডওয়ার্ডের নবাগত হামরো পার্টি দ্রুত জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন।

সদ্য দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় আসা হামরো পার্টির সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ডও এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দার্জিলিংয়ের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এবং তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকবে বলে সমস্তরকমের আশ্বাস দিয়েছেন।

আনীত থাপা এবং হরকা বাহাদুর ছেত্রীও দ্রুত জিটিএ নির্বাচন চাইছেন। এবং দার্জিলিং ও পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত রকম সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরা কার্যত সহমত।

সবমিলিয়ে পাহাড়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের এক সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখা গেল এদিন। পাহাড়ের রাজনীতির শুধু সমীকরণ নয় পরিবেশটাই বদলে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- ২.৬ লাখের বাইক কিনতে শো রুমে হাজির ১ টাকার কয়েন নিয়ে! তারপর যা হল…