বঙ্গবাসীর জন্য ‘অশনি’ সঙ্কেত নয়, ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়ছে না রাজ্যে

0
3

শক্তি বাড়িয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’।বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে। আজ, শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামিকাল রবিবারেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে নিম্নচাপ হিসেবে যাবে। এরপর সোমবার তা চূড়ান্ত ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।ঘূর্ণিঝড়ের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড় ভয়ঙ্কর রূপ নিলেও পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। রাজ্যের বাক সমস্ত জেলায় শুষ্ক থাকবে। রাতে তাপমাত্রা আরও কোনও পরিবর্তন হবে না। বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে সেটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি শক্তি বাড়িয়ে ২০ মার্চ সকাল নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি উত্তরের দিকে গতি নিয়ে ২১ তারিখ আরও একটু শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে গিয়ে মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের ওপর ২২ তারিখ নাগাদ পৌছবে।

তবে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। বরং সোমবার থেকে বাংলায় আরও বাড়বে গরমের দাপট। বাড়বে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। আগামী চারদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।

যদিও কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। শনিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- কংগ্ৰেস সভাপতি নয়, অন্য কোন পদ দেওয়া হোক রাহুলকে, চাইছেন বিক্ষুব্ধরা