ডেফ অলিম্পিক্সে ( Deaflympics 2022) সুযোগ পেলেন শিলিগুড়ির প্রিয়ম চক্রবর্তী ও স্মরণ দাস। শিলিগুড়ির এই দুই ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন টেবিল টেনিসে। দুজনই প্রশিক্ষণ নেন ভারতী ঘোষের কাছে।

২০১০ সালে মারা যান প্রিয়মের বাবা। সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রিয়মের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় খুশি তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। প্রিয়ম ডেফ অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়ায় তাঁর দিদি প্রিয়া চক্রবর্তী বলেন,”ছোট থেকে খেলা ভালবাসত প্রিয়ম। যে কোনও খেলা সহজেই রপ্ত করে নিতে পারত। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সব খেলা খেলতে পারেনি। তখনই হঠাৎ আমরা ভারতী ঘোষের কথা জানতে পারি। তিনি সুস্থ বাচ্চাদের পাশাপাশি মূক ও বধিরদেরও টেবিল টেনিস খেলা শেখাতেন। ভাইকে সেখানেই ভর্তি করি। আজ প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রিয়ম তাঁর কাছেই খেলা শিখছে। জেলার পাশাপাশি রাজ্য ও জাতীয় স্তরেও খেলেছে ও।”
অন্য দিকে, শিলিগুড়ির দেবাশিস কলোনির বাসিন্দা স্মরণের বাবা পরিমল দাস পেশায় একজন বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় স্মরণ কথা বলতে পারলেও, পরে ডাক্তার জানায় ও মূক ও বধির। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে কিছু করতেই হত। সেটা ভেবেই ভারতী ঘোষের কাছে স্মরণকে টেবিল টেনিসে ভর্তি করি।”

এদিকে দুই ছাত্রই সুযোগ পেয়েছেন বড় প্রতিযোগিতায়। তাতে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে কোচ ভারতী ঘোষের। তাঁর ছাত্ররা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন বলে মনে করছেন তিনি। এই নিয়ে ভারতী ঘোষ বলেন,” আজ আমার গর্বের মুহুর্ত। এর আগেও এ শহর থেকে অনেক মূক ও বধির খেলোয়াড় ডেফ অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেছে। পদকও জিতেছে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক খেলোয়াড়কে অলিম্পিক্সে যেতে হলে যে পরিশ্রম করতে হয়, এদের একই পরিশ্রম করতে হয়। ছোট থেকে ওদের আমি খেলা শেখাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, দু’জনই দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।”
আরও পড়ুন:Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস











































































































































