কপ্টার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিবের!

0
1

প্রতিবেদন : কপ্টার কেলেঙ্কারিতে (Chopper Deal Bribery Case) জড়াল দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিবের নাম (ex-defence secretary Shashi Kant Sharma)৷ মনমোহন সিং সরকার (Manmohan Singh Government) ২০১০ সালে ইতালি থেকে ১২টি অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কেনার একটি চুক্তি সই করেছিল। ৩৬০০ কোটি টাকার ওই কপ্টার চুক্তি নিয়ে প্রথম থেকেই দুর্নীতি ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কপ্টার কেলেঙ্কারির ওই মামলায় বুধবার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।

আরও পড়ুন: পরপর এনকাউন্টার, অসমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত ২ ধর্ষণে অভিযুক্ত

গোয়েন্দা সংস্থার চার্জশিটে নাম রয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত শর্মার (ex-defence secretary Shashi Kant Sharma) । নাম রয়েছে প্রাক্তন এয়ার ভাইস মার্শাল জসবীর সিং পানেসরেরও। কেন্দ্রের তরফে শশীকান্তকে অভিযুক্ত করার অনুমতি মিলতেই বুধবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই৷ একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে অনুরোধ করেছে শশীকান্ত এবং পানেসরের বিরুদ্ধে যেন তদন্ত চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়৷ উল্লেখ্য, ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শশীকান্ত ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা সচিব৷ এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের পদে ছিলেন৷ দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ২০১৬ সালে কপ্টার কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এয়ার চিফ মার্শাল এস পি ত্যাগী ও আরও ১১  জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে শুধু শশীকান্ত ও জসবীর নয়, সিবিআই এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় ডেপুটি চিফ টেস্টিং পাইলট এস এ কুন্তে, টমাস ম্যাথু ও উইং কমান্ডার এন সন্তোষের বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে চায়। সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই চুক্তি করার ক্ষেত্রে ১২ জনকে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ। ইতালীয় সংস্থা ফিনমেকানিকা ভারতের জন্য যে কপ্টার তৈরি করেছিল তাতে চুক্তির বেশ কয়েকটি শর্ত মানা হয়নি।

মনমোহন সিং জমানায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ভিভিআইপিদের চড়ার জন্য ওই কপ্টার কেনার চুক্তি হয়েছিল। ২০১২ সালে ইতালিতে প্রথম কপ্টার চুক্তির কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়। ২০১৩ সালে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সিইও ব্রুনো স্প্যাগনলিনি ইতালিতে গ্রেফতার হন। কপ্টার কেনা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকার ওই চুক্তি বাতিল করে দেয়।