পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস খুনের ঘটনার তদন্তের উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে একটি সিম কার্ড ছাড়া মোবাইল ছাড়াও আরও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। জেরায় গ্রেফতার অমিত পাণ্ডে জানিয়েছে, কাউন্সিলর খুনে যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই আরও একজনকে জখম করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:Fire: কসবার বোসপুকুর রোডে অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
এদিকে মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিতকে দীর্ঘ জেরা করার পর মঙ্গলবার রাতে কালনা থেকে নিহত কাউন্সিলরের পিসতুতো ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি। ব্যারাকপুর পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জীবই অনুপমকে খুন করার ব্যাপারে অমিতকে সুপারি দিয়েছিল। সে পানিহাটি পুরসভায় পূর্ত দফতরের ঠিকাদার। অনেকদিন ধরেই অনুপমের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। সূত্রের খবর, এর আগেও অনুপমকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জিয়ারুল নামে এক সুপারি কিলারকে নিয়োগ করেছিল বাপি পণ্ডিত। তাকে চার লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু সে বেপাত্তা হয়ে যায়। পরে তাকে মারধর করে বাপি। এরপর অমিত হরিণঘাটার বাসিন্দা জিয়ারুল মণ্ডলকে গত ডিসেম্বর মাসে গুলিবিদ্ধ করে। কিন্তু কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যায় জিয়ারুল। যদিও জিয়ারুলের পরিবার এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে মঙ্গলবার থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তার বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিত এবং সঞ্জীব দুজনেই বেশ কিছুদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।তবে গত রবিবার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে শ্যুট করার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অমিত পণ্ডিতকে দেখা গেলেও বাপি কোথায় ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.