সিপিএম রাজ্য সম্মেলন : একদিকে ঘুমন্ত নেতাদের ছবি, অন্যদিকে দল আলিমুদ্দিনের কয়েকজনের সম্পত্তি নয় সমালোচনায় বিদ্ধ নেতৃত্ব

0
2

সিপিএম রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক। একদিকে আলিমুদ্দিনের রাজ্য নেতাদের স্বঘোষিত দালাল বলেছেন একটি জেলার প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে সম্মেলন চলাকালীন দিবা নিদ্রায় ডুবে থাকা নেতাদের ছবি দেখে সমালোচনা, দলটার কেন এই দশা সকলে বুঝতে পারছেন।

আরও পড়ুন:By Election: উপনির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস

ছবিতে কী দেখা যাচ্ছে? এক বক্তা যখন রিপোর্ট পেশ করছেন তখন তাঁর সামনে বিমান বসু ঢুলছেন। তাঁর পিছনে সিটু সাধারণ সম্পাদক তপন সেন হা করে ঘুমোচ্ছেন আর হান্নান মোল্লা চোখ বন্ধ করে দিবা নিদ্রার অভ্যাসে মগ্ন। দলের কর্মীরা এই ছবি দেখে বলছেন, যেখানে দলের শ্রমিক-কৃষক ফ্রন্ট এভাবে ঘুমোয়, তাদের ভবিষ্যৎ এর চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না।

রিপোর্টের উপর আলোচনা করতে গিয়ে মূলত দুই বর্ধমান জেলার প্রতিনিধিরা নেতৃত্বকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন। সেখানে যেমন অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় আছেন, তেমনি রয়েছেন, তেমনি রয়েছেনপশ্চিম মেদিনীপুরের সমর মুখোপাধ্যায়, মালদার দেবজ্যোতি সিনহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোনালিসা সিনহা মেদিনীপুরের গীতা হাঁসদা। নেতৃত্বর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?

১. আলিমুদ্দিনের কয়েক জন নেতা ভোটে জোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা মামাবাড়ি নাকি? জেলা কমিটির নেতৃত্ব পর্যন্ত জানবে না? সবটা কি আলিমুদ্দিনে বসে ঠিক হবে? আর বাকিরা শুধু সিদ্ধান্ত বহন করবে, আর দায় নেবে!

২. আইএসএফের মতো সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত কাদের? সিপিএমের গায়ে যে সাম্প্রদায়িক তকমা লাগল, তার দায় মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু, সূর্যকান্তরা নেবেন? না পারবেন মোছাতে?

৩. রাজ্য নেতারা রাস্তায় নামেন না। হয় আলিমুদ্দিনে, নয়তো ডায়ালগ দিচ্ছেন চ্যানেলে-চ্যানেলে। ফলে তাদের দেখে ছাত্র-ছাত্রী ফ্রন্টও ডায়ালগ সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। সমালোচনার চাইতে আত্মসমালোচনা আগে দরকার। পার্টিকে এরাই অপ্রাসঙ্গিক করে দিচ্ছে।

৪. বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পদভূষণ প্রত্যাখ্যান কার সিদ্ধান্ত ছিল? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি পার্টি তাঁকে বলার সুযোগ না দিয়ে অন্য অজস্র বারের মতো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল?

৫. দলের সাধারণ সম্পাদক তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে সাফ জানান, পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত প্রয়োগে রাজ্য সিপিএম ব্যর্থ হয়েছে। কেন হয়েছে তার জবাব দেবেন। আক্রমণ মূলত সূর্যকান্তর দিকে। এক সদস্য বলেন, দল সরকারে থাকাকালীন উনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে সরকারকে ডুবিয়েছেন। এবার রাজ্য সম্পাদক হিসাবে দলকে ডোবালেন।

৭০০ প্রতিনিধি আর ৭ পলিটব্যুরো সদস্য নিয়ে সম্মেলনের আজ দ্বিতীয় দিন।