কীভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস খুনের মূল অভিযুক্ত?

0
1

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দফায় দফায় জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্যও।ধৃতের নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত।ধৃতের বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। আজই তাকে আদালতে তোলা হয়। কী করে ধরা পড়ল অভিযুক্ত?

আরও পড়ুন:রাজ্যের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোতায়েন হতে পারে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

রবিবার পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের পরই সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পর জামা বদল করে আগরপাড়ার তেঁতুলতলা এলাকার হোগলাবনে লুকিয়ে ছিল শ্যুটার। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝোপের মধ্যে কাউকে নড়াচড়া করতে দেখেন। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় পাশের ক্লাবের ছেলেদের এবং পাড়ার লোকেদের ডেকে বিষয়টি জানান। তার পরই ওই হোগলা বন ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া পুলিশে। স্থানীয়রাই তারপর হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দেন। তখন সেই ঝোপ থেকে বেরিয়ে পালাতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ শম্ভুনাথকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তারপর তাঁকে খড়দহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রবিবার সন্ধেয় পুরভোটে সদ্য জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে পুলিশ। সেখানেই দেখা যায়, পাড়ার দোকানের সামনে স্কুটারে বসে কথা বলছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।আচমকাই পেছন থেকে নীল টি-শার্ট পরা এক যুবক সেখানে উপস্থিত হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পকেট থেকে রাইফেল বের করে গুলি কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে কাউন্সিলর।গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাঁকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাঁকে খুনের সুপারি দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শম্ভুনাথের সঙ্গে আর কারা ছিলেন জেরা করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাঁকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাঁকে খুনের সুপারি দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শম্ভুনাথের সঙ্গে আর কারা ছিলেন জেরা করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।