“কায়দা করে জিতেছি”, নন্দীগ্রাম কারচুপি কাণ্ডে শুভেন্দুর পর্দাফাঁস রাজীব-জয়প্রকাশের

0
1

প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জয়ী হয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠক করেও সে কথা জানিয়ে দেন বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। পরে ফের জানানো হয় নন্দীগ্রামে(Nandigram) বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari) জয়ী। যদিও সেই জয় নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। মামলাও চলছে আদালতে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেদিনের ঘটনা ও শুভেন্দুর কথোপকথন তুলে ধরে বিস্ফোরণ ঘটালেন তৎকালীন বিজেপি নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার(Jayprakash Majumdar) ও তৃণমূলের ত্রিপুরা ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Rajib Banerjee)। তুলে ধরলেন তৎকালীন সময়ে নন্দীগ্রামে জয়ের পর শুভেন্দুর বক্তব্য, জিততে অনেক কায়দা করতে হয়েছে নন্দীগ্রামে। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামকাণ্ডে রহস্যের মেঘ আরও ঘনীভূত হয়ে উঠল।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে রীতিমত আক্রমণাত্মক ভুমিকা নেন একদা সহযোগী জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। এখানেই জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “নন্দীগ্রামে ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠক করে আমি জানিয়েছিলাম, নন্দীগ্রামে মাননীয়া জিতেছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরে সেই ফল বদলে যায়। তখন শুভেন্দুকে ফোনে এই বিষয়ে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উনি রহস্যময় হাসি হেসে জানান, ‘জয়প্রকাশ দা অনেক কায়দা করতে হয়েছে। সেই কায়দা আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।” পাশাপাশি শুভেন্দু প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জয়প্রকাশ বলেন, “শুভেন্দুর যোগদানে দিলীপের অনিহা ছিল। নারদাকাণ্ডে এফআইআরে নাম ছিল শুভেন্দুর। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখেই শুনেছিলাম তদন্ত থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে আসছেন উনি। কেন্দ্রের তরফেও ওর বিরুদ্ধে চলা মামলা ধামাচাপা দেওয়া শুরু হয়।” শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, “একের পর এক মিটিংয়ে এই শুভেন্দু কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছিল, “বাংলার মানুষকে পেটে মারতে হবে ভাতে মারতে হবে। রাজ্যের চলা সামাজিক প্রকল্পগুলি যাতে বন্ধ করা হয় তার জন্য কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছিলেন। এই জন্যই আজ নিজের ওয়ার্ডে হারছেন শুভেন্দু।”

আরও পড়ুন:ইপিএফে সুদের হার কমে ৮.১ শতাংশ, মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত

পাশাপাশি এদিন জয়প্রকাশের সুরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেদিন নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন শুভেন্দুর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়। শুভেন্দু আমাকে জানান, নন্দীগ্রামে আমি হেরে গেছি। তারপর কোনও এক অদ্ভুত উপায়ে তিনি জিতে যান।” একইসঙ্গে রাজীব আরও বলেন, “বুকে হাত দিয়ে বলুন তো নন্দীগ্রামের ভোট কতটা স্বচ্ছ হয়েছে? নন্দীগ্রামে পুনরায় গননা হোক, শুভেন্দু হারবে।” এছাড়াও শুভেন্দুকে তোপ দেগে সাম্প্রতিক বিধানসভা বাজেট অধিবেশনের প্রসঙ্গ তুলে রাজীব আরও বলেন, “বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যপাল গড়াপেটা করে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরী করতে চেয়েছিল। বাইরে বেরিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে বিরোধী দলনেতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করে চলেছেন। বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না। আর কিছুদিন পর বিজেপিকে বাংলায় দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”