সদ্য শেষ হওয়া ৫ রাজ্যের নির্বাচনে চুড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস(Congress)। লজ্জাজনক এই হারের পর সংগঠনে রদবদলের দাবিতে ফের সরব হয়ে উঠল কংগ্রেসের(Congress) বিক্ষুব্ধ নেতারা। অবিলম্বে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার দাবিতে সরব হয়ে উঠলেন তাঁরা। ৫ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পর রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের(Gulam Nabi Azad) বাড়িতে বৈঠক করলেন ‘জি-২৩ গ্রুপে’র (Congress G-23) তিন নেতা আনন্দ শর্মা, কপিল সিবল ও মণীশ তিওয়ারি।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্বের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে দলকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত সংগঠনকে ঢেলে সাজানো ও কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার দাবি করা হবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর হারের বিশ্লেষণ করতে সোনিয়া গান্ধী কর্মসমিতির বৈঠক ডাকবেন বলে জানা গিয়েছিল। এই বৈঠক যাতে অবিলম্বে ডাকা হয় তার দাবি তোলা হয়েছে। এই বইথকের আলোচনা প্রকাশ্যে না আনলেও গুলাম নবি আজাদ জানান, “এই শোচনীয় পরাজয়ের ফলে ভিতর ভিতর আমি রক্তাক্ত হচ্ছি। দলের জন্য গোটা জীবনটা উৎসর্গ করার পর এই বয়সে এসে এই হাল সহ্য করতে পারছি না। আশা করব এই ভুলগুলো থেকে দল দ্রুত শিক্ষা নেবে ও আমরা যে কথাটা বারবার বলে আসছি, সেই মতো কাজ করা হবে।” পাশাপাশি টুইটে শশী থারুর জানান, “সাফল্য পেতে হলে দলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।”
আরও পড়ুন: “কায়দা করে জিতেছি”, নন্দীগ্রাম কারচুপি কাণ্ডে শুভেন্দুর পর্দাফাঁস রাজীব-জয়প্রকাশের
সবমিলিয়ে কংগ্রেসের এহেন রক্তক্ষরণে দলের অন্দরে ফের বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, “যেভাবে নির্বাচনে লড়লাম আমরা, তাতেই ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দলটা শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন মুখ আনতে হবে। তাহলে যদি কিছু করা যায়।”














































































































































