হরিদেবপুরে বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আরও ২জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এনিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার হরিদেবপুরের খুনের ঘটনায় ঔরঙ্গাবাদ থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম কুন্দন কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, বাপ্পা ভট্টাচার্যকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। খুনের নেপথ্যে টাকা পয়সা সংক্রান্তের বিবাদ থাকতে পারে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা।এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনায় যুক্ত আরও ২ জনের নাম উঠে আসতেই গতকাল রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত কুন্দন কুমারের দুই সঙ্গী দেবরাজ রায় ও জিতেন লামাকে।
আরও পড়ুন:অফিস টাইমে হাওড়া-তারকেশ্বর শাখার নসিবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা
প্রসঙ্গত, ৮মার্চ নিজের বাড়ির শৌচালয় থেকে বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। খুনের অভিযোগ করেন মৃতের আত্মীয়রা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পাশাপাশি সায়েন্টিফিক উইং ও ফরেন্সিক দলও তদন্ত শুরু করেছিল। মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করে, খুন করা হয়েছে বেসরকারী সংস্থার কর্মী বাপ্পা ভট্টাচার্যকে। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। স্ত্রী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন এবং মেয়েও বিয়ের পর থাকেন উত্তর চব্বিশ পরগনার পানিহাটিতে। মৃতের স্ত্রীর দাবি, রবিবার পর তাঁর সঙ্গে স্বামীর কথা হয়নি। বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনও। এরপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। প্রতিবেশী তাঁর বাড়িতে ঢুকে দেখেন দোতলার ঘরের দরজা খোলা। শৌচালয়ে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার যখন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে, ততক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। মৃতের মেয়ের দাবি, ঘটনার দিন কয়েকজন সহকর্মীর আসার কথা ছিল। বুধবার ঘটনাস্থলে ডিসিডিডি স্পেশাল দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা আসেন। আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং বিভাগও। থ্রিডি লেজার ইমেজিং পদ্ধতিতে তদন্ত চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিভাগও। তারপর বৃহস্পতিবারই খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশের জালে ধর পড়ে ৩।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.