ইউক্রেন থেকে ফেরা ডাক্তারি পড়ুয়াদের খুশির খবর শোনাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন

0
1

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন। সেই কারণে কোর্স (Course) অসম্পর্ণ রেখেই দেশে ফিরতে হয়েছে অসংখ্য পড়ুয়াকে। এবার তাঁদের খুশির খবর শোনাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। পাঠক্রম শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে ভারতীয় পড়ুয়াদের এদেশেই ইন্টার্নশিপ (Internship) শেষ করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)।

ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে যে ভারতীয় এমবিবিএস (MBBS) পড়ুয়া তাঁদের ১২মাসের ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করতে পারেননি, তাঁদের দেশেই অবশিষ্ট ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, আবেদন করার আগে বিদেশী মেডিক্যাল স্নাতক পরীক্ষা (FMGE) উত্তীর্ণ হতে হবে। করোনার কারণে এই রকমের একটা সুযোগ আগেই চালু করা হয়েছিল এদেশে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ‘কোভিড’ (Covid) এর সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে মেডিক্যাল পড়া পড়ুয়াদের দুটি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। অন্য দেশে ইন্টার্নশিপ করার পর ফের এ দেশে ফিরে ডাক্তারি করার জন্য ইন্টার্নশিপ করতে হয়। কম খরচে মেডিক্যাল পড়ার সুবিধার জন্য ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান ভারতীয়রা। বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে ছিল, ইউক্রেনে কুড়ি হাজার ভারতীয় পড়ুয়া গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ইন্টার্নশিপের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই সমস্ত পড়ুয়াদের যাতে ভবিষ্যত নষ্ট না হয় এবং তারা দ্রুত ডাক্তারি প্র্যাক্টিস শুরু করতে পারেন সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ডেপুটি সেক্রেটারি শম্ভু শরণ কুমার জানিয়েছেন, ” বিদেশে এমবিবিএস পাশ করা পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই ইন্টার্নশিপ শেষ করার জন্য তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে”।

প্রাথমিক ভাবে ২০ হাজারের মতো ভারতীয় ইউক্রেনে ছিলেন বলে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি। সরকারি হিসেবে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যদিও অন্তত হাজার দুয়েক ভারতীয় ইউক্রেনে আটকে থাকতে পারে বলে অনুমান। এর অর্থ সকলে দূতাবাসে নাম নথিবদ্ধ করাননি। ইউক্রেন থেকে আশেপাশের দেশে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয়দের মধ্যে ১০,৩৪৫ জনকে ৪৮টি বিমানে করে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত আরও ১৬টি বিমান চলবে। যাতে অধিকাংশ ভারতীয়ই দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা বিদেশ মন্ত্রকের। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “খারকিভ, সুমির মতো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধার করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। আমরা সুমি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সমস্ত রকম উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ওখানে এখন যুদ্ধ চলছে। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষই পড়ুয়াদের বার করে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা।”

Corona Update:পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে,তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর হার!

দেশে ফেরা প্রায় সব পড়ুয়ারই অভিযোগ, ইউক্রেন থেকে সীমান্ত বা পাশ্ববর্তী দেশে পৌঁছনোই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। মাইলের পর মাইল হেঁটে, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে প্রতিবেশী দেশে পৌঁছতে হচ্ছে। অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, নবীনের দেহ ফেরাতে ইউক্রেন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।