নিজেদের বুথে ডুবিয়েছেন! শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তর বিরুদ্ধে তথ্য গেল দিল্লিতে*

0
1

(কাঁথি, পশ্চিম মেদিনীপুর হোক কিংবা বালুরঘাট, নিজেদের গড়ে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন নেতারা যেভাবে দলকে ডুবিয়েছেন, বিস্তারিতভাবে সেই রিপোর্ট গেল দিল্লিতে)

কলকাতা সহ রাজ্যের ৫ পুরনিগমের ভোট হোক কিংবা সদ্যসমাপ্ত ১০৮টি পৌরসভা নির্বাচন, বিজেপিকে পিছনে ফেলে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে ফের উঠে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে বামেরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।

১০৮ পুরভোটের ফলাফল যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে। গণনার শেষে বিজেপির ঝুলি শূন্য। খাতায়-কলমে প্রধান বিরোধী দল হয়েও একটি পুরসভারও দখল পায়নি গেরুয়া শিবির। দাঁত ফোটানো তো দূরের কথা কোথাও আঁচড় পর্যন্ত কাটতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যে ২২৭৪ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৬৩ টিতে। দলের বাইরে এমন ফল নিয়ে কটাক্ষের মুখে তো পড়তেই হচ্ছে, সমালোচনার সুর অন্দরেও।

অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটের পর উপনির্বাচন ও পুরভোট একের পর এক ভোটে দলের গ্রাফ যেভাবে নামছে তাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর কার্যত ভরসা হারাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে ভুলে ভরা রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুদের দেওয়া রিপোর্টের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ফলে বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিলও নেই। শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোট থেকে শুরু করে সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী যেখানে যেখানে প্রচারে গিয়েছেন সেখানে সেখানে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি হয়েছে। দলের অন্দরে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে, একটা শুভেন্দু বাংলায় বিজেপিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এর আগে একুশের ভোটের সময় থেকেই ফল নিয়ে ও সংগঠন নিয়ে আগাম যে রিপোর্ট বঙ্গ বিজেপি নেতারা দিল্লিকে দিয়েছেন তা বারে বারে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা যতই সন্ত্রাসের কথা বলুন, নিজের বুথ-ওয়ার্ডে কী করে বিজেপি প্রার্থীরা হারছেন? যে নেতারা নিজের বুথ, পার্ট সামলাতে পারেন না, সেই নেতারা রাজ্য সামলাবেন কী করে? শুভেন্দুর মতো একই কথা প্রযোজ্য দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের ক্ষেত্রেও।

আর এই সুযোগেই সলতে পাকাতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহী ও বেসুরো নেতারা। কাঁথি, পশ্চিম মেদিনীপুর হোক কিংবা বালুরঘাট, নিজেদের গড়ে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন নেতারা যেভাবে দলকে ডুবিয়েছেন, বিস্তারিতভাবে সেই রিপোর্ট তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির এক বিক্ষুব্ধ নেতা।