শাসকদলের আশা সত্যি করেই রাজ্যে ১০৮ পুরসভাতেই (Municipal) নিরঙ্কুশ আধিপত্য তৃণমূলের (TMC)। বিরোধীদের দুরমুশ করে ১০৮টির মধ্যে ১০২টি গিয়েছে তৃণমূলের দখল। একটি পেয়েছে বামেরা। একটি পেয়েছে হামারো পার্টি। ৪টিতে ত্রিশঙ্কু। এই ৪টির মধ্যে রয়েছে হুগলির চাঁপদানি, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং পুরুলিয়ার ঝালদা।
বুধবার, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকে রাজ্যে ১০৭ টি পুরসভার ভোটের গণনা শুরু হয়। একঘণ্টার মধ্য়েই দেখা যায় বিরোধীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় রাজ্যের শাসকদল। বেলা যত গড়ায়, ততই আসন বাড়ে তৃণমূলের। আর বহু যোজন দূরে পড়ে থাকে বিরোধীরা।
শেষ পাওয়া খবরে, ৩১ টিতে বিরোধীরা কোনও আসনই জিততে পারেনি। একচ্ছত্র দাপট জোড়াফুলের।
ভোটপ্রাপ্তির হারের নিরিখেও অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপি (BJP)-কে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। তৃতীয় স্থানে বিজেপি। এর থেকে ইঙ্গিত রাজ্যের বিরোধী রাজনীতিকে পটপরিবর্তন হচ্ছে। তবে, বামেদের (Left Front) গত কয়েকটি নির্বাচনের জোটসঙ্গী কংগ্রেসর (Congrass) হাত এবারও শূন্য। কোথাও খাতা খুলতে পারেনি তারা। এমনকী, দখলে থাকা পুরসভাও হাতছাড়া অধীর চৌধুরীদের।
তবে, সবচেয়ে খারাপ হাল বিজেপি। যেখান ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছিল পদ্মশিবির, সেখানে বছর ঘোরার আগেই সব পাঁপড়ি ঝরে গিয়েছে তাদের। অবস্থান একেবারে শূন্যে।
বিভিন্ন গড়ে বলে যে প্রচার ছিল পুরভোটে জোড়াফুলের দাপটে ভেঙে চুরমার হলে তাও। কাঁথি হাত ছাড়া তথাকথিত অধিকারীদের। এই বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, কাঁথি তৃণমূলের গড় ছিল, অধিকারীরা দেখাশোনা করত। এখনও তৃণমূলেরই আছে। বহরমপুর হাতছাড়া অধীর চৌধুরীর। এখন তিনি ব্যর্থতা ঢাকতে দোষ চাপাচ্ছেন শাসকদল ও প্রশাসনের উপর। ভাটপাড়া-জগদ্দল অঞ্চলে না কি একচ্ছত্র দাপট বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-য়ের। কিন্তু পুরভোটে শেষ সেই হাওয়াও। ভাটপড়ায় খাতায় খোলেননি বিজেপির। উত্তরবঙ্গ থেকেই বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখত গেরুয়া শিবির। সেই স্বপ্নও ভেঙে চুরমার। দার্জিলি-সহ সব জায়গাতেই ধুলিস্যাৎ তারা। তবে, এই বিপুল জয়ে যেন সংযত থাকেন দলের নেতা-কর্মীদের সেই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। বলেন, বাংলার মানুষের রায়ে দায়িত্ব বেড়েছে। সুতরাং, আরও নম্র হতে হবে।
আরও পড়ুন- “ছাত্র মেরে ছাত্র প্রেম”, আনিসের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির জবাব দিয়ে ফের রাজপথে TMCP