ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে মরিয়া রাশিয়া। যুদ্ধের প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউক্রেন যে এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে তা কল্পনা করতে পারেনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের ষষ্ঠদিনেও রাজধানী কিভ দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের দাবি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এবং নিষিদ্ধ ‘ভ্যাকিউম বম্ব’ ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন:খারকিভে ব্যাপক বোমাবর্ষণ রাশিয়ার: মৃত এক ভারতীয় পড়ুয়া, জানালো বিদেশ মন্ত্রক
সোমবার হোয়াইট হাউসের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন আমেরিকায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওসামা মাকারোভার । তারপরই তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেনে ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়ার সেনা। মারকারোভার কথায়, “আজ ওরা (রাশিয়া) একটি ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের প্রচণ্ড ক্ষতি করতে চাইছে রাশিয়া।যেটি জেনিভা সম্মেলনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল”
কী এই ‘ভ্যাকিউম বম্ব’?
ভ্যাকিউম বম্ব আসলে একটি থার্মোবারিক বোমা। অর্থাৎ এই বোমা আশপাশের বাতাস থেকে সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয়। তারপরই ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। তৈরি হয় বিরাট অগ্নিগোলক। বিস্ফোরণে প্রচণ্ড উত্তাপের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় ভয়ঙ্কর শক ওয়েভ। যার গতি এত তীব্র যে বাড়িঘর থেকে মানুষ– সমস্ত কিছু মুহূর্তের মধ্যে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ওই বোমার আঘাতে এতটাই উত্তাপ ও শক ওয়েভ তৈরি হয় যা একটি মানুষকে মুহূর্তে বাষ্পে পরিণত করে। ধ্বংস করার ক্ষমতার নিরিখে ভ্যাকিউম বোমার কাছে আর পাঁচটা সাধারণ বোমা শিশুমাত্র।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কি ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়া? ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার এই অভিযোগ করেছে ইউক্রেন-সহ বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। যদিও এ বিষয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি মস্কো।