ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে বিড়াল, এবার শিশিরের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব তৃণমূলের

0
1

ধরি মাছ না ছুঁই পানি পালা শেষ। লুকোচুরি চলছিল।
এবার ঝুলি থেকে বিড়ালটা বেরিয়ে পড়েছে। দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌরসভা ভোটে সাংসদ শিশির অধিকারীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার বর্ষীয়ান সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: আজ বইমেলার উদ্বোধন, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১০টি বইয়েরও প্রকাশ

নিজেকে এখনও খাতায়-কলমে তৃণমূলের সাংসদ দাবি করেও কিভাবে ভোটার ও তৃণমূলের নেতাদের ফোন করে তিনি বিজেপিকে সাহায্য করতে বলেন? তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাঁথির পুরভোটে শিশিরবাবুর এহেন ভূমিকা প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সবার উপরেই নজর রাখছি। দলনেত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে নজর রেখে চলেছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলবিরোধী কাজ করে কেউ যাতে পার পেয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। যাঁরা দলে থাকার দাবি করে প্রকাশ্যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। তা তিনি যেই হোন না কেন!’’

প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার ভোটের ঠিক আগে একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়। সেখানে শিশির অধিকারী কাঁথির এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে শুভেন্দুর প্রার্থীকে সাহায্য করার কথা বলছেন। বিষয়টি নজরে আসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। রবিবার তৃণমূল ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয় শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেও। কাঁথির পুরভোটের দিনেও শিশিরের ভূমিকায় নজরে ছিল তৃণমূলের। তাঁর ভূমিকায় একেবারে সন্তুষ্ট নন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তবে এই প্রথম নয়। ছেলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে দল বিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। গত বছর বিধানসভা ভোটের সময় ১ মার্চ এগরায় অমিত শাহের জনসভায় হাজির হন শিশিরবাবু। ভোটের আগে বিজেপির জনসভায় হাজির হওয়ায় লোকসভার স্পিকারের কাছে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে এবার সবকিছুর সীমা লংঘন করা সাংসদ শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দল বিরোধী আচরণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল।