বাংলাদেশ-ভারতের আত্মিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান সত্যম রায়চৌধুরীর

0
2

বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানালেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী। রাজশাহি সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ পঞ্চম সাংস্কৃতিক মেলায় একথা বলেন তিনি। পাশাপাশি ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে সত্যম রায়চৌধুরীর ভাষণে উভয় দেশের শিল্পী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন গুরুত্ব পায়। শনিবার রাজশাহিতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই উৎসবের সূচনা হয়। রাজশাহির মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত ভারতীয়দের জন্য নগর ভবনে নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।এদিনের মেলায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ত্রিপুরার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, সাংসদ পঙ্কজ নাথ প্রমুখ। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে কলকাতা থেকে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শান্তনু রায়চৌধুরী, মৌ রায়চৌধুরী -সহ একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আরও পড়ুন:রাশিয়া- ইউক্রেন সেনার প্রবল লড়াই খারকিভ, কিভে, গ্যাসের পাইপলাইন ওড়াল পুতিন-সেনা


অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভারতীয় প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে দু’দেশের সম্পর্ককে আরও অটুট করার ডাক দেন ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের  সংস্থার সমন্বয়ক মেজর (অবঃ) এএসএম শামসুল আরেফিন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে সত্যম রায়চৌধুরী মৈত্রীর বন্ধনকে আরও অটুট করে তুলতে উপস্থিত সকলের মধ্যে গোলাপ ছড়িয়ে দেন তিনি। সত্যমের অনুরোধে শান্তনুর গলায় ‘‌আলোকের এই ঝর্না ধারায়’‌ সকলকে মুগ্ধ করে।বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রেজ্জাকের ভাষণে উঠে আসে বংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রস্তাব দেন রাজশাহি থেকে মালদা হয়ে কলকাতা সরাসরি রেল সংযোগ স্থাপনের। রাজশাহির মেয়র লিটনের প্রস্তাব, এখান থেকে দর্শনা হয়ে সরাসরি কলকাতায় পৌঁছাক ট্রেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রস্তাবটি দিল্লির নজরে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ত্রিপুরার মন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবমিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশের এই মিলন মেলায় দু’দেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।