২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন। তার আগে জোরকদমে প্রচার চলছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। অকালে চলে গিয়েছেন কাজল সিনহা। বৃহস্পতিবার খড়দহে পুরভোটের প্রচারে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন মোদি সরকারকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা বলেন তৃণমূলে সাধারণ সম্পাদক।
কুণাল বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ বিজেপির যত সিনিয়র নেতারা আছেন সারাদেশ থেকে আসতেন। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। আর বলতেন আবকি বার ২০০ পার। তখন কেউ বোঝেনি ২০০ পারের মানে পেট্রোল আর ডিজেলের দাম বাড়ানোর কথা বলছেন। বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন সমস্ত কিছুর দাম বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধ, সার সবকিছুর দাম বাড়াচ্ছে মোদি সরকার।”
বিজেপিকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “ওঁরা বলে ভারত মাতা কি জয়। আর মায়ের গলা থেকে একটা একটা করে গয়না খুলে খোলাবাজারে বেচে দিচ্ছে। শেষে টাটার কাছে বেচেছে এয়ার ইন্ডিয়া। কৃষক বিরোধী সরকার, শ্রমিক বিরোধী সরকার। যারা জীবন বীমার টাকা রেখেছে তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই।”
আরও পড়ুন-আনিসকাণ্ডে ধৃত ২ পুলিশকর্মীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
কুণাল (Kunal Ghosh) আরও বলেন, “রাজ্য সরকারের জনমুখী নীতি। এদের সমর্থনে ভোট চাইছি। আগের থেকে রাস্তা ভালো হচ্ছে, আলো বাড়ছে, জল সরবরাহ বাড়ছে, নিকাশি ব্যবস্থা বাড়ছে। এবং কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার। প্রত্যেকটি পরিবারে কোনা না কোনো পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তাই এদের সমর্থনে ভোট চাইছি।”
তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিন। রাজ্য সরকারের জনমুখী নীতির পক্ষে ভোট দিন। আপনার এলাকা যাতে ভালো থাকে, উন্নয়ন হয় তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন। কোন বিজেপিকে ভোট দেবেন, দিলীপ বিজেপি না সুকান্ত বিজেপিকে? যারা বামফ্রন্ট, কংগ্রেসকে আগে ভোট দিয়েছেন তাঁদের বলব ভোট নষ্ট করবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন। ভোট নষ্ট করা মানে উন্নয়নের বিরোধী শক্তি, সমাজের বিরোধী শক্তি হাত শক্ত করা।”
কুণাল বলেন, “এবারের পুরভোট শুধুমাত্র পুরসভায় সীমাবদ্ধ নেই। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তাই এখন ভারতবর্ষের নজর বাংলায়। বিকল্প শক্তি চাই দেশে। ২০২৪ আমাদের লক্ষ্য। তাঁর জন্য সারা দেশে অ-বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি তাকিয়ে রয়েছে বাংলার দিকে। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেন সেই ভরকেন্দ্র যাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে একটা বিকল্প শক্তি তৈরি হবে। তার জন্য ভোট দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।”











































































































































