জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা শুভ মাথা নাড়ে: শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ কুণালের

0
1

গদ্দার-মিরজাফর বলার জন্য তৃণমূল(TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। এবার কুণাল ঘোষকে ত্যাজ্যপুত্র বলার জন্য পালটা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন কুণাল। পাশাপাশি কটাক্ষ করে কুণাল জানালেন, “জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা শুভ মাথা নাড়ে।”

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে আনিসের রহস্য মৃত্যু থেকে আসন্ন নির্বাচন সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হন কুণাল ঘোষ। সেখানেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পালটা মানহানির নোটিস প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “কাঁথিতে পা রাখলে ওর বুক কাঁপছে। আমার বাবা আমাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে সেটা আমি জানি না, ও জানে। আদালতের নোটিশ পাঠাচ্ছি। সেখানে দেখা হবে। ও এসে প্রমাণ করুক।” একইসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সবাই বলছে জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা শুভ মাথা নাড়ে, সবাই তাই বলছে। আসলে ওর নিয়ন্ত্রণ নেই নিজের প্রতি।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শুভেন্দুর আক্রমণ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী সোনামণি আমার কচি খোকা। যখন দিদিমণি বলেছে সাংসদ, মন্ত্রী হও তখন দিদি ভালো। আর এখন খারাপ।”

আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বিদেশ ভিত্তিক ‘পাঞ্জাব পলিটিক্স টিভি’-র ডিজিটাল মিডিয়া সংস্থা নিষিদ্ধ করল

এদিন আনিসের মৃত্যু প্রসঙ্গেও কুণাল ঘোষ বলেন, “আনিসের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। টিমসি দোষীদের শাস্তি চায়। বামেদের সন্ত্রাসের সময়ে টিএমসি লড়েছে। এখন ন্যায় বিচারের জন্যে লড়ছে। SIT তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু বিজেপি ও বিরোধী দল ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছে। এটা রাজনীতির বিষয় নয়, সময়ও নয়। হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার সময়।” একইসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি আরও যোগ করেন, “বিজেপি বিভক্ত। আগের দিন মোমবাতি মিছিল করল না। এমন কথা বলল যাতে অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। এটা কোন বিজেপি? শুভেন্দু এক আর দল এক। কেন মিছিল করল না? শুভেন্দু সহায়তা দেবে বলছে। আসলে বিজেপির দেউলিয়া রাজনীতির নগ্ন ছবি বেরোচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসটাইম কল না করে প্রকাশ্যে মিছিল করল না কেন? আগে ওর মিছিলে যাওয়া উচিত ছিল। একটা ছেলে মারা গিয়েছে সে এন আর সি ও সিএএ বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে বলে তার হয়ে মিছিল করবে না। এটা হাস্যকর বিষয়। তিনি কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এটা বড় কথা নয়। সিট হয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থান জনিত মূল্যায়ন করা উচিত নয়।”

এছাড়াও আসন্ন পুরভোটে বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী শব্দ আসলে নিজেদের ছেলেদের ভুলানোর জন্য ব্যবহার করেন। বিধানসভায় দেখেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপি ভোট করিয়েছিল। গোহারা হেরেছে। আসলে নিজেদের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। বাঁশ নিয়ে যা বলেছেন তা প্ররোচনামূলক। প্রার্থী পান না, বুথ এজেন্ট পান না। মানসিক হতাশা থেকে বলছেন।”