দেউচা-পাচামির(deucha panchami) কাজ শুরুর আগেই ক্ষতিপূরণের চেক(compensation cheque) ও চাকরি পেয়ে গেলেন ২২২ জন। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের চেক নিতে নবান্নে(Nabanna) উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন। তাদের হাতে চেক ও নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দেওয়া হয় জমির পাট্টাও। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সরকারি আধিকারিকদের বার্তা দেন, “দেউচা পাচামিতে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।” এদিন নবান্নে ৫০ জনের পাশাপাশি বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়(Bidhan Roy) স্থানীয় জমিদাতাদের ১৭২ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
দেউচা পাচামি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অনেকখানি কার্যকরী প্রকল্প তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেউচা পাচামিতে লক্ষাধিক চাকরি হবে। স্থানীয়দের জমির বদলে দেওয়া হবে জমি। এই প্রকল্প সরকারের অনেক বড় প্রকল্প এখানকার উন্নয়নে স্কুল-রাস্তা সবকিছু তৈরি করে দেবে সরকার।’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৬০০ টি পরিবার জমি দিতে রাজি হয়েছে এই প্রকল্পে। তাদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে এখানে। প্রত্যেক পরিবারকে বিকল্প জমি, টাকা এবং চাকরি দেওয়া হবে।’ একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন জমির বাজার দরের দ্বিগুন টাকা পাচ্ছেন জমিদাতারা। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ি ‘গ্রুপ ডি’ ও ‘গ্রুপ সি’ পদে নিয়োগ করা হবে বলেও জানান। একইসঙ্গে আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন “দেউচা পাচামিতে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।”
আরও পড়ুন:আনিস : এসএফআইয়ের নেতৃত্বে চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ, মিছিল মৌলালি থেকে
উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম এই খনি প্রকল্পের জন্য যাতে কোনওভাবেই গ্রামবাসীরা সমস্যায় না পড়েন সেদিকে বাড়তি নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরির পাশাপাশি সংশোধিত ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় স্বভাবতই উৎসবের পরিবেশ দেউচা-পাঁচামিতে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাও। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, দেউচা-পাঁচামির কাজ শুরুর আগেই ২২২ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর চাকরিতে নিয়োগ করার ঘটনা শুধু এ রাজ্যে নয়, গোটা দেশেই প্রথম এবং নজিরবিহীন।