Anis Case: আনিস মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রস্তাব সিটের

0
3

আনিসের রহস্য মৃত্যু উন্মোচনে কঠোর সিট। ১৫দিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে দিনরাত এক করেছেন সিটের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতের পর ফের আজ,বুধবার সকালে আনিসের বাড়িতে হাজির হন সিটের তদন্তকারী দল। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে চায় তারা৷ যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে আনিসের পরিবার। এদিন তদন্তের স্বার্থে সকালেই সিটের তরফে আনিসের পরিবারকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তাতে নাকচ করে দেয়।

আরও পড়ুন: আনিস কাণ্ডে তৎপর প্রশাসন, পুলিশের পোশাকে বাধ্যতামূলক হল ‘আর্মড ব্যাজ’

বুধবার সাতসকালে মৃত যুবনেতা আনিস খানের আমতার বাড়িতে পৌঁছয় বাগনান থানার SI সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি প্রতিনিধি দলও মৃত যুবনেতার বাড়িতে তদন্তের স্বার্থে পৌঁছয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে যান৷ এরপরই মৃত যুবনেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় সিট-এর দল।  আনিসের রহস্যজনক মৃত্যুর পর পুলিশের তরফেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়৷ যদিও আনিসের পরিবার অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল৷ এর পর আনিস মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বভার হাতে পায় সিট৷ তদন্তের স্বার্থে দ্বিতীয়বার আনিসের দেহের ময়নাতদন্তের জন্য আমতা থানায় রিক্যুইজিশন পাঠায় সিট৷

আনিসের মৃত্যু তদন্তে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন কেন, তাও আনিসের বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন সিটের তদন্তকারী দল। কারণ আনিসের পরিবারের সম্মতি ছাড়া দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়। তবুও সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি আনিসের পরিবার। আনিসের বাবা সাফ জানান, রাজ্য পুলিশ নয়, একমাত্র CBIতদন্তভার নিলে তবেই ময়নাতদন্তের সম্মতি দেবেন তিনি।অন্যদিকে ছেলের মোবাইল দিতেও রাজি হননি মৃত যুবনেতার বাবা।এরই মধ্যে আনিস খানের দাদা সাবির খান অভিযোগ করেছেন, সিবিআই তদন্তের দাবি তোলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে অজানা নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ যদিও সেই কলের রেকর্ডিয়ের সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ।

এদিকে প্রাথমিক ফরেন্সিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে,আনিস খানকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলা হয়নি। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে আনিসের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যারা গিয়েছিল, তাদের ধস্তাধস্তি হয়ে থাকতে পারে। তখন ছাদের ঘরের কোণের দিকে চলে যাওয়াতেই আনিস আচমকা পড়ে যান। তাঁর দেহ ছাদের ধার ঘেঁষে পড়েছিল। ঠেলে বা ধাক্কা দিয়ে ফেললে, দেহটা আরও কিছুটা দূরে পড়ত।

যদিও তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট থানার এক এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করার জন্য সিট-এর সুপারিশ মানা হয়েছে। পাশাপাশি ওই থানার এক হোমগার্ডের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনায় তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।  নবান্নের সর্বোচ্চ স্তরের নির্দেশ, পরিবার চাইলে আনিস খানের দেহ ফের ময়নাতদন্ত করা হবে। দ্বিতীয়বার হবে ফরেন্সিক পরীক্ষাও।