নারী নির্যাতনের বিরাম নেই। মৃত্যুদণ্ডের সাজাও সামাজের অপরাধপ্রবণতা কমাতে পারছে না। দিল্লিতে (Delhi) গণধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রশ্ন উঠছে আইনশৃঙ্খলার গুরুতর অবনতি নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে রয়েছে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব। তারপরেও দিল্লিতে অসুরক্ষিত মেয়েরা। গত জানুয়ারিতেই ৮ বছরের এক শিশুকন্যা এবং ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধা গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এবার গণধর্ষিতা ও খুন ১৪ বছরের এক নাবালিকা। ধর্ষণ করার পর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের মধ্যে সোমবার একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দুদিন পর বিষয়টি জানা যায়। মৃত নাবালিকার কয়েকদিন ধরেই খোঁজ না মেলায় তার পরিবার স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানায়। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ ওই নাবালিকার কোনও সন্ধান পায়নি। এরই মধ্যে দিল্লির (Delhi) নিরালা এলাকার এক ব্যবসায়ী পুলিশকে জানান, তিনি কয়েকদিন শহরের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন তাঁর দোকান বন্ধ এবং ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। যে কর্মীকে তিনি দোকানের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর পুলিশের সাহায্যে দোকানের শাটার ভেঙে দেখা যায়, বস্তার মধ্যে রয়েছে একটি পচা গলা মৃতদেহ। বস্তাটি গোবর দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। বস্তা খুললে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। দেহ উদ্ধারের পরই ডিসিপি বিজেন্দ্র যাদবের (Bijendra Yadav) নেতৃত্বে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। সোমবার এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্যারোলে মুক্তি পেতেই ‘ধর্ষক’ রাম রহিমকে ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা বিজেপি সরকারের
বিজেন্দ্র জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্ত মুম্বই পালানোর চেষ্টা করছিল। ঠিক সময় তাঁরা তাকে ধরে ফেলেছেন। ডিসিপি জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত কাজ দেওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর শাটার বন্ধ করে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি চাপা দিতে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্তরা। ধৃতকে জেরা করে অপর অভিযুক্তকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।













































































































































