প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। রবিবার মুম্বইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ প্রয়াত সাধন পাণ্ডের মরদেহ পৌঁছয় বিধানসভায়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান, বিধানসভার অধ্যক্ষ, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনান্য মন্ত্রী ও বিধায়করা। বিধানসভা থেকে তাঁর দেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানে।রাজ্য সরকারের পূর্ণ মর্যাদায় সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অপরাজিত বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন:International Language Day: ‘আমরা সব ভাষাকে ভালোবাসি’, ভাষা দিবসে ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন বিরোধী গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, সাধনের মরদেহে মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রবিবার মুম্বইয়ে প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। রবিবার গভীর রাতে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। সেখানে প্রয়াত সতীর্থর দেহ আনতে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সাধনের দেহ রাতেই বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুরসভার নিজস্ব মর্গ ‘পিস ওয়ার্ল্ডে’। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
১৯৮৫ সালে বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হন সাধন পাণ্ডে। সেবার জয়লাভের মধ্য দিয়েই পরিষদীয় রাজনীতিতে পা রাখেন। বাকিটা ইতিহাস।কখনও ভোটে পরাজিত হননি ৯ বারের বিধায়ক সাধনবাবু। ১৯৮৫-২০২১ সাল পর্যন্ত একটানা বিধায়ক হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তাঁর বর্ণময় রাজনৈতিক কেরিয়ারে। প্রথমে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। ২০০৯ সালে বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্রটি অবলুপ্ত হয়ে যায়। ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে মানিকতলা থেকে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই দফতরটিকে আরও জনমুখী ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর হাতধরেই।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.