আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা ছাত্রনেতা আনিস খানের(Anis khan) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের জন্য শুনানির আবেদন গ্রহন করল হাইকোর্ট(HighCourt)। সোমবার আদালতের তরফে রাজ্য সরকারকে(State Govt) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৩ দিনের মধ্যে রাজ্যসরকারকে তাদের অবস্থান জানানোর। ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় সিট(SIT) গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। সিটের নেতৃত্বে থাকছেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি, সিআইডি।
আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল ছাত্রসমাজ। রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি এই পরিস্থিতিতে আনিস খানের মৃত্যু-রহস্য উদঘাটনে হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। সোমবার সেই আবেদন গ্রহন করেছে আদালত। পাশাপাশি এবিষয়ে রাজ্যসরকারকে তার অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে আবেদনকারি আইনজীবী কৌস্তব বাগচী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিচারপতি মান্থার কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম, এমন একটি বিষয়ে আদালত চুপ করে থাকতে পারে না। বিচারপতি স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছেন।’
আরও পড়ুন:Mamata: দেউচা পাচামিতে জোর করে জমি নয়: লক্ষাধিক চাকরি, জমির দ্বিগুণ দামের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে আনিস খানের মৃত্যু প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যসরকারের কঠোর অবস্থানের কথা এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্টভাবে তিনি জানান, এ ব্যাপারে সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। তবে, কখনোই দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। সেটা কারও হাতে নেই তবে, মৃত ছাত্রনেতার পরিবার যেন সরকারের ওপর আস্থা রাখে। এর কোনো ক্ষমা হয় না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিশেষ তদন্তকারী দল এই ঘটনার তদন্ত করবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।