গণতন্ত্র নিয়ে ভাষণে নেহেরুর প্রশংসা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর, রাষ্ট্রদূতকে তলব দিল্লির

0
1

দেশের গণতন্ত্র(democracy) কিভাবে চলা উচিত তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর(Jawaharlal Nehru) প্রসঙ্গ টানলেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং(Lee sien loong)। সিঙ্গাপুরের সংসদে বিতর্ক সভায় গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেহেরু প্রসঙ্গ টেনে আনেন ৭০ বছর বয়সি লুং। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে দেশের বিদেশমন্ত্রক। তলব করা হয়েছে ভারতে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের(Singapore) রাষ্ট্রদূত সাইমন ওংকে।

সিঙ্গাপুরের সংসদে বক্তব্য রাখতে নেহেরুর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেশিরভাগ দেশের জন্ম তথা সূচনা হয় মহান মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রজন্ম পেরোতে পেরোতে, সময় যত এগোয়, ততই ছবিটা বদলে যায়। যদিও গণতন্ত্রের সূচনা কিন্তু আবেগ দিয়েই হয়। যে সকল রাষ্ট্রনেতা সংগ্রাম করেছিলেন, দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ব্যতিক্রমী। তাঁরা ছিলেন সাহসী, তাঁরা ছিলেন সাংস্কৃতিক বোধসম্পন্ন। অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে তাঁরা সফল হয়েছিলেন, তাঁরা মানুষের নেতা, দেশের নেতা হতে পেরেছিলেন। সেই তালিকাতেই পড়েন ডেভিড বেন-গুরিয়ন, জওহরলাল নেহরুরা। আমাদের দেশেও এমন নেতা রয়েছেন।”

আরও পড়ুন:ধনকড়কে নিয়ে মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট

শুধু তাই নয় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই বদলে যায়। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধায় ভাটা পড়ে। বিশ্বাস ক্ষয়ে যায়, আর তাতে দেশের অবনতি ঘটে। বর্তমানে অনেক দেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো দেখলে তার সঙ্গে, তার প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মতাদর্শকে মেলানোই যায় না। দু’বছরে বার চারেক নির্বাচনের পরেও বেন-গুরিয়নের ইজরায়েলে সরকার গঠন হতে পারে না। নেহরুর ভারতে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অর্ধেকের বেশি লোকসভার সাংসদের নামে ফৌজদারি মামলা চলছে। সেই তালিকায় খুন, ধর্ষণও রয়েছে।”

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না মোদি সরকার। এই ঘটনার পরই তলব করা হয়েছে ভারতে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতকে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের দাবি, ভারত সরকার মনে করছে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য অযৌক্তিক এবং অযাচিত। যদিও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশের ভিডিও নিজের টুইটারে শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ। রাজনৈতিক মহলের দাবি যেহেতু ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন। তাই বিশ্বের অন্য দেশ গণতন্ত্র ইস্যুতে নেহেরুর প্রশংসা করুক সেটা মোটেও পছন্দ করছে না মোদি সরকার।