তথ্য বলতে কিছুই ছিল না তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের (Tiljala Traffic Guard) ওসি সৌভিক চক্রবর্তীর (Souvik Chakraborty) কাছে। তবুও খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতোই সোর্স কাজে লাগিয়ে মহিলার জরুরি নথি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করে দিলেন তিনি।
বুধবার সাড়ে চারটে নাগাদ সার্জেন্ট সুমন্ত পাল (Sumanta Paul) জানান, যে একজন মহিলা রাস্তায় কান্নাকাটি করছেন। জানা যায়, ওই মহিলা এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পঞ্চন্নগ্রামে যাওয়ার পথে ট্যাক্সিতে (Taxi) সব জিনিস ভুলে নেমে গিয়েছেন। তার মধ্যে মোবাইল ফোন এবং তাঁর ভাইপো সমস্ত মেডিক্যাল নথি, পরীক্ষার রিপোর্ট ছিল। বৃহস্পতিবার, তাঁর বড় অস্ত্রোপচার করা হবে। মহিলা ট্যাক্সির নম্বর মনে করতে পারেননি। ড্রাইভারের কোনও নির্দিষ্ট বিবরণও দিতে পারেননি। শুধু জানান, ট্যাক্সিচালক যাত্রাপথে জানিয়েছিলেন, তিনি সোনারপুরের খেয়াদা এলাকার বাসিন্দা। এতটুকু তথ্য দিয়েই সৌভিক চক্রবর্তী তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করেন। তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের অধীন ও আশপাশের এলাকার সব ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। রুবি এলাকা থেকে সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে, সোনারপুর থানার দুর্গানগরে পৌঁছয় পুলিশ। ট্যাক্সি ট্র্যাক করে সমস্ত হারানো নথি পুনরুদ্ধার করা হয়।
মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এই তৎপরতায় অত্যন্ত খুশি। ওই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার করা কখনওই সম্ভব ছিল না। সৌভিক ও তাঁর টিমকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন- দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে উন্নয়নই হাতিয়ার তৃণমূল প্রার্থীর