রাজ্য সরকারের (State Government)নতুন ট্রাফিক আইন (Traffic rules) চিন্তায় ফেলেছে বাস মালিকদের। জরিমানার পরিমাণ বাড়ায় রাস্তায় নামছে কম সংখ্যক বাস(Bus), ফলত সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা। সমাধানের পথ বের করতে এবার গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেটে (certificate of fitness) ছাড় দিতে পারে রাজ্য সরকার। তবে সেক্ষেত্রে গাড়িকে অবশ্যই ফিট থাকতে হবে, জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
আরো পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে টেলিমেডিসিন প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার
রাস্তায় বাস নেই, ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা।সকালে অফিস টাইমে যদিও বা মিলছে বাস কিন্তু সন্ধ্যেবেলায় ফেরার সময় বাড়ছে সমস্যা। বাসমালিকদের দাবি, বেশিরভাগ গাড়ির কাগজে গন্ডগোল আছে। বিমা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাগজপত্র, সর্বত্রই সমস্যা থাকায় জরিমানার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফলে কেস খাওয়ার ভয়ে গাড়ি বের করতে চাইছেন না অধিকাংশ বাস মালিকরা।তাই এবার সিএফ( ফিটনেস সার্টিফিকেট) ফেল গাড়িকে রেগুলারাইজড করতে উদ্যোগী হচ্ছে পরিবহণ দপ্তর।
সোমবার জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, এককালীন মাত্র দেড় হাজার টাকা দিলেই এবার গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পাবেন মালিকরা। শুধু তাই নয়,যতদিনেরই সিএফ ফেল থাকুক না কেন গাড়ির মালিককে জরিমানা দিতে হবে না। তবে সেই গাড়িকে অবশ্যই ফিট হতে হবে। সূত্রের খবর,খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। পরিবহনজনিত সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সমাধানের পথ খুঁজতে তড়িঘড়ি মিটিং করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাস, ক্যাব, পুলকারের যৌথ মঞ্চ এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। এই জয়েন্ট ফোরামের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, “সিএফের এককালীন কোনও ছাড়ের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সরকার খতিয়ে দেখছে। একইসঙ্গে ট্রাফিক আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে অভিযোগ জানানো যাবে। প্রত্যেক সংগঠনকে একটা হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার দেওয়া হবে।”