পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে(Uttar Pradesh) সমাজবাদী পার্টির(SP) প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে নির্বাচনী প্রচার সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(MamataBanerjee)। তুলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও ভয়াবহ অন্ধকার দিক গুলি। সরব হলেন, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে, রাজ্যবাসীকে আবেদন জানালেন বিভাজন নয়, এক হয়ে অখিলেশকে সমর্থনের জন্য। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে(BJP) হারালে গোটা দেশ থেকে বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও এদিন বার্তা দেন মমতা।

এদিন ভাষণের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখানে নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র বিজেপিকে প্রকাশ্য জনসভার অনুমতি দেয় বিরোধীদের নয়। যার জন্যই আমাদের ভার্চুয়াল সভা করতে হয়। বাংলায় নির্বাচনের সময় অখিলেশ তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন কিরণময়, জয়াকে প্রচারে পাঠিয়েছিলেন তার জন্য অখিলেশকে এদিন ধন্যবাদ জানান মমতা। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি এখন ভারতের জন্য বিপজ্জনক রাজনৈতিক দল। মা-বোনরা যদি এককাট্টা হতে পারেন তাহলেই বিজেপিকে হারানো সম্ভব। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে গোটা দেশ থেকে বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়া যাবে। ভোটের পর বিজেপির কাউকে দেখা যায় না। ভোটের পর কোকিলের মতো উবে যায় বিজেপি। বিজেপিকে হঠাতে অখিলেশকে সমর্থন করুন।অখিলেশ যাদব জিতলে বাংলা আর উত্তরপ্রদেশ মিলে শিল্প তৈরি হবে। আমরা একসঙ্গে পর্যটন শিল্পের উন্নতি করতে পারব।”
আরও পড়ুন:“হাথরস-উন্নাওয়ের জন্য আগে ক্ষমা চান, পরে ভোট চাইবেন”, যোগীকে তোপ মমতার
বিজেপিকে তোপ দেগে এদিন মমতা আরো বলেন, “হাথরসের ঘটনার জন্য আগে ক্ষমা চাক বিজেপি, তারপর ভোট চাইবে। উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য আগে ক্ষমা চাও। পবিত্র গঙ্গায় লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই লাশ তুলে তার সৎকার করেছি। কত মানুষের দেহ আপনারা গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন? তাঁদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান আপানারা। কোভিডে যখন মানুষ মরছিল তখন যোগীজি কোথায় ছিলেন ? তখন আপনি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে গেছিলেন?”
মোদিকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, “আমি শুনেছি স্কুটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রতিশ্রুতিই তো শুধু দিচ্ছেন। কোভিডে যে টিকা দিয়েছেন সে তো মানুষের টাকায়। উত্তরপ্রদেশে যে টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলছেন সেই টাকা কোথায় গেল? সেই অর্থ পিএম কেয়ারে গেছে, অডিট হবে না বলে ?” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “কত পরিযায়ী শ্রমিক অনাহারে মারা গেছে। কোভিডে, কৃষক আন্দোলনে, এনআরসি আন্দোলনে বহু মানুষ মারা গেছে। তাদের সবার পরিবারের একজনকে রেলে চাকরি দিতে হবে, ম্যানিফেস্টোতে আগে সেকথা লিখুন”।
এখানেই না থেমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও আইন মানে না বিজেপি সরকার। এটা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে তবে আমরা এটা হতে দেব না। সাতমাস আমাদের দেশের কৃষকরা রাস্তায় বসেছিলেন। মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি নিয়ে তাদের পিষে দিয়েছে। তার জন্য অন্তত ক্ষমা চাওয়া উচিত”। এদিনে তুষার থেকে অখিলেশের সমর্থনে স্লোগানও বেঁধে দেন মমতা। জানিয়ে দেন আবকি বার অখিলেশ ৩০০ পার।















































































































































