পুরোভোট উপলক্ষে মঙ্গলবার বিধান নগরের(Bidhan nagar) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্তর(Sabyasachi Dutta) হয়ে প্রচার সারলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। এদিন প্রচার থেকে তৃণমূলকে(TMC) ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী-শূন্য করে বিধান নগরকে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিন। একই সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত প্রসঙ্গে তিনি জানান, সব্যসাচী যদি ‘সুবিধাভোগী’ বাকিদের মতো বিধানসভা ভোটের আগে দল ত্যাগ করতো তাহলে আজ ওর হয়ে ভোট চাইতে আসতাম না। ও দল ছেড়েছিল ঠিকই, তবে সেটা ২০১৯ সালে। ভোটের আগে ‘ফায়দা’ নেওয়া নেতাদের মত নয়। পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ।


বিধান নগরের পুরো ভোটের প্রচারে গিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সব্যসাচীকে আমি বহুদিন থেকে চিনি। ও কাজের ছেলে। জ্যোতি বসু যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ও জ্যোতিবাবুর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হত। একুশের নির্বাচনের আগে হঠাৎ একটা রব উঠল। কেন্দ্রীয় নেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হলো। তখন কিছু জন ভাবলেন চলে যাবেন, পরিবর্তন হলে ফায়দাটা নিতে হবে তো। সব্যসাচী যদি সেই দলে পড়তো তবে আমি আজ ওর জন্য ভোট চাইতে আসতাম না। ও দল ছেড়েছিল ২০১৯ সালে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমেছিল। ক্ষোভ থাকতেই পারে, তখন দশটা সঠিক সিদ্ধান্তের মধ্যে একটা ভুল হয়ে যায়। তবে দল ছাড়লেও ও মমতা-অভিষেক সম্পর্কে কোনদিন একটা খারাপ কথা বলেনি, ভোটের আগে সুবিধাবাদী রাজনীতি করেনি। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওর উপর আবার ভরসা রেখেছেন।”

পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “শুধু শুভেন্দু নয়, ওর গোটা পরিবার তৃণমূল থেকে একের পর এক পদ নিয়ে গিয়েছে। তারপর ভোটের আগে দল পাল্টে এখন মমতাকে কু-কথা বলে চলেছে। যদি দলটা এতই খারাপ হয় তুমি কেন এতদিন দলে ছিলে?” সুর চড়িয়ে তিনি আরো বলেন, “শুভেন্দু পাগল হয়ে গিয়েছে আবার গোপনে তৃণমূলে ফিরতে চাইছে। সব্যসাচীর পর তাই ওদের এত রাগ। এটা রাগ নয় হিংসে, সব্যসাচী ফিরতে পেরেছে ও ফিরতে পারেনি। শুভেন্দুর মেরুদন্ড নেই তাই বিজেপির জুতো পালিশ করছে।”

পাশাপাশি এদিনের সভায় থেকে বিজেপিকে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি নেতারা এখানে বলছে রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বিজেপি বসে আছে, তারা বলছে একের পর এক প্রকল্পে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বাংলা। ১০০ দিনের কাজ, মাথাপিছু আয়, ও অন্যান্য একাধিক সামাজিক প্রকল্প।” এছাড়াও দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সকালে টিভি খুলতেই দেখবেন দিলীপ ঘোষ বলছে পেছনে সুন্দর গাছপালা ফুলের গন্ধ হালকা কুয়াশা। উনি মর্নিং ওয়াক করছেন আর রাজ্য সরকারকে গালাগাল করছেন। যেখানে দাঁড়িয়ে করছেন সেটা ইকোপার্ক। সেটাও তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে এখন অতৃপ্ত আত্মাদের আর্তনাদ চলছে। সুতরাং ওদেরকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিন এবং বিরোধী শূন্য করে বিধান নগরকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিন।”













































































































































