”প্রেম-শ্রদ্ধা-প্রার্থনা”, লতাকে দেখেই তানপুরা নিয়ে অনুশীলন শুরু এ আর রহমানের

0
1

সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশ সুরলোকে চলে গেলেন সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকালেই এল চরম দুঃসংবাদ। যা শুনে প্রথমে নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না দেশের সঙ্গীত মহলের আরেক কিংবদন্তি এ আর রহমান। এরপরই টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সোফায় বসে রয়েছেন সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ঠিক তাঁর পায়ের কাছে মেঝেতে বসে রয়েছেন এ আর রহমান। লতার সান্নিধ্যে এই পুরোনো ছবি শেয়ার করে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন সুরকার। টুইটারে লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রহমান লিখেছেন, ”প্রেম-শ্রদ্ধা-প্রার্থনা”।

সুর সম্রাজ্ঞী সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে একটি ভিডিও বার্তাও দেন এ আর রহমান। তিনি বলেন, ”লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। তবে লতাজির সঙ্গে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে আমার প্রথমেই মনে পড়ে বাবার কথা। আমার বাবা লতাজির খুব বড় অনুরাগী ছিলেন। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। কিন্তু এখনও মনে আছে, খাটের পাশে লতাজির একটি ছবি রেখেছিলেন বাবা। প্রতিদিন বাড়ি থেকে স্টুডিওর উদ্দেশে বেরনোর সময় সেই ছবিতে প্রণাম করতেন বাবা। কখনও লতাজির আশীর্বাদ ছাড়া তিনি স্টুডিওতে যেতেন না। লতাজির ছবিটিই বাবাকে অনুপ্রাণিত করত।”

লতা মঙ্গেশকারকে দেখেই সুরকার থেকে গায়ক হওয়ার ইচ্ছা জাগে এ আর রহমানের। তাঁর কথায়, ”আমি খুব সৌভাগ্যবান বলেই লতাজির কিছু কিছু অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরেছি। একটি শো-এর আগে আমি দেখি, বন্ধ ঘরে তানপুরা নিয়ে আমার তৈরি করাই সুর খুব আস্তে আস্তে অনুশীলন করছেন লতাজি। বিশ্বাস হয়নি প্রথমে। এটাই ওনার রেওয়াজের ধরণ! তার আগে আমি নিজে গান গাওয়ার কথা ভাবিনি। নিজেকে একজন সুরকার হিসেবেই দেখে এসেছি। কিন্তু তারপর থেকে প্রত্যেক শো-এর আগে আমি তানপুরা নিয়ে অনুশীলন করি।”