অযথা ব্যয় নয়, মার্চের মধ্যে জেলাশাসকদের নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ মুখ্য সচিবের

0
1

রাজ্যের প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজে গতি আনতে বৃহস্পতিবার স্পষ্ট দিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(MamataBanerjee)। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে জেলা প্রশাসন গুলিকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যসচিব(chief secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী(Hari Krishna Dwivedi)।

শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত বিভিন্ন প্রকল্প সময়ের মধ্যে রূপায়নের নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসকের তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, অযথা অর্থ খরচ করা যাবে না। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা কমে গেলে বন্ধ করা হবে সেফ হোমগুলিও। সমস্ত নির্মাণ কাজ যেখানে যা বাকি আছে তা চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত আশা কর্মীদের নিয়োগ সেরে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

আরও পড়ুন:এমবিবিএস পড়ুয়াদের দাবি মেনে পিছলো NEET-PG পরীক্ষা

নেতাজি ইন্ডোরের প্রশাসনিক বৈঠকে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মহীন যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে জেলাশাসকদের এদিন মুখ্য সচিব বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় আগ্রহী স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের স্কুলের পোশাক তৈরির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের পোশাক তৈরি করবে। যা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে। এই কর্মসূচির জন্য অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার ওপরে আগেই জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। এ ধরনের প্রকল্পে আরও গতি আনতে মুখ্য সচিব জেলায় জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা আরো বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

মুখ্যসচিব এদিন ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওই প্রকল্পে এসসি, এসটি তালিকাভুক্তদের বাড়ি আগে তৈরি করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করার ওপরও মুখ্যসচিব এদিন জোর দেন। ওই প্রকল্পের টাকা যাতে অপচয় না হয় সে ব্যাপারে তিনি জেলাশাসককে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্য সচিব বলেছেন, প্রয়োজন বুঝে খরচ করতে হবে। এবং খরচ করা টাকায় যথাসম্ভব স্থায়ী সম্পদ তৈরীর উপর জোর দিতে হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে মুখ্য সচিব রাজ্যে ছোট শিল্প পার্কের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। প্রত্যেক জেলায় অন্তত তিনটি করে এ ধরণের শিল্প পার্ক গড়ে তোলার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। নির্মীয়মান সমস্ত প্রকল্পগুলির কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও জেলাশাসক দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।