লোকসভায় বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেসের নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেন বিজেপি (Bjp) সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant dubey)। নিশিকান্তের অভিযোগ, “জনগণকে ব্যাপকভাবে উস্কানি দেওয়ার জন্য এই প্রস্তাব।“ পাশাপাশি, নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, “রাহুল সংসদে বলেছেন যেকোনও রাজ্য ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হতে পারে।“
নিশিকান্ত দুবে বলেন, “সংবিধানের প্রস্তাবনাটিও পড়েননি রাহুল গান্ধী। আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে গঠন করার জন্য আন্তরিকভাবে সংকল্প করেছি।“ তাঁর মতে, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দটি রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সর্বোপরি একটি ‘জাতি’। কিন্তু, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই সহজ সত্যটি একজন সাংসদ সদস্য বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বিজেপি কে শাস্তি দেওয়ার ডাক, উত্তরপ্রদেশে জোরদার প্রচারে নামছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
নিশিকান্ত দুবে তাঁর নোটিশে আরও বলেন, “ভারতরত্ন প্রয়াত বিআর আম্বেদকরের রচিত আমাদের সংবিধানের নীতির ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। এভাবে ভুল এবং অযৌক্তিক যুক্তি উত্থাপন করে রাহুল গান্ধী আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছেন। রাহুল গান্ধীর এই কাজটি ‘স্বাধিকার লঙ্ঘন’ এবং ‘হাউসের অবমাননা’। এবং এটা লোকসভা এবং স্পিকারের প্রাসঙ্গিক বিধি ও নির্দেশের অধীনে শাস্তিযোগ্য।“
রাহুলের (Rahul Gandhi) এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তাঁর অভিযোগ, রাহুল গান্ধী নিজেই বিভ্রান্ত। উনি বলছেন ভারত একটা দেশ নয়। উনি হয়তো ভারতের ইতিহাস জানেন না। ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’। আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুও প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধানের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র দেশের আইনমন্ত্রী হিসাবেই নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবেও, রাহুল গান্ধী দেশের আইন ব্য়বস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা বলেছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ করি। আমাদের গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এগুলি। রাহুল গান্ধীর উচিত এখনি দেশের সাধারণ মানুষ, আইন ব্যবস্থার কাছে ক্ষমা চাওয়া’।

































































































































