আগের অধিবেশনগুলিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও বলার সুযোগ পাননি। বাজেট অধিবেশনে সেই সুযোগ আসতেই মোদি সরকারকে কার্যত ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। দারিদ্র, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাজেট সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিটের বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই ছিল মোদির সরকারের ব্যর্থতার কথা।
তিনি বলেন,৪১ বছর তাঁর সরকারি চাকরি জীবন কাটানোর সময় তিনি কোনদিন অর্থনীতির এরকম দুরবস্থা দেখেননি। এমনকি ১৯৯১ তেও দেশের এরকম দৈন্যদশা ছিলনা। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে তার উপদেশ, ” কথার প্রতিশ্রুতি আর স্বপ্নের ফেরি করে ক্ষুধা মেটানো যায় না।”
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের প্রায় ১০০ কোটি লোকের মধ্যে কর্মক্ষম লোকের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। যার মধ্যে ৪০শতাংশ শ্রমজীবী। আর এর পরিষ্কার অর্থ হলো, দেশে ৬০ কোটি লোকের কোনো সুষ্ঠু কর্মসংস্থান নেই। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানান,দেশ ২০১৪ র আগে এইরকম নগ্ন পুঁজিবাদী তোষণ দেখেনি। এক শ্রেণীর লোক যেমন ধনী হয়েছে , তেমনই নিম্নশ্রেণির লোকেদের সম্মিলিত আর্থিক সম্পদ দেশের সম্পদের মাত্র ১৩ শতাংশে এসে নেমেছে।
ভারতবর্ষের দারিদ্রতার সীমা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে সে কথা বলতে গিয়ে তথ্য দিয়ে তিনি বলেন। ২০০৬ এর পর থেকে,১৫ কোটি লোককে দারিদ্র্যসীমার উপরে আনা হয়েছিল। কিন্তু শেষ দু বছরে আবার ১৪ কোটি লোক বাধ্য হয়েছে দারিদ্র্যসীমার নীচে যেতে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এটাই হয়তো মোদি সরকারের সাফল্য।”
আগের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন,তারা শাসক পক্ষের মদত দিতো। তাই ২০২৪ এ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, স্বচ্ছ নির্বাচনের।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান,”আমি কাজ করেছি তাই আমি জানি সেন্ট্রাল ভিস্তার কোন প্রয়োজন ছিল না।” এখনো পর্যন্ত পেগাসাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি না দেওয়ার বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন তাঁর ভাষণে।
শিক্ষা খাতে সরকারের খরচ কমানো প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি জানি আপনি শিক্ষার কিছু বোঝেন না।কিন্তু শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। ”










































































































































