Kunal Ghosh: জনপ্রিয় বা প্রতিভাধর হলেই যা খুশি বলা যায় না: তীব্র প্রতিবাদ করে পোস্ট কুণালের

0
3

একটি নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিকের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও (Audio) ভাইরাল (Viral) হয়েছে। সেই অডিও-র কণ্ঠস্বর কবীর সুমনের (Kabir Suman) বলে মত অনেকের। যদিও অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’। এর প্রেক্ষিতে গত দুদিন ধরে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। বেশিভাগই এই পোস্টকে কবীর সুমনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শনিবার, সেই বিষয় নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি স্পষ্ট বলেন, অডিওটি যদি কবীর সুমনের হয়, তাহলে তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কুণাল লেখেন,

“যে অডিওটি ঘুরছে, সেটি যদি কবীর সুমনেরই হয়, তাহলে তা অতি আপত্তিকর এবং তীব্র প্রতিবাদযোগ্য। এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত, না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত। জনপ্রিয় গায়ক বা প্রতিভাধর বুদ্ধিজীবী হলেই এসব বলা যাবে, এটা হতে পারে না।”

কুণালের পোস্ট থেকে স্পষ্ট এই ধরনের কথাকে কোনোভাবেই সমর্থন করেন না তিনি। জনপ্রিয় বা প্রতিভাধর হলেই যে যাকে যা ইচ্ছে বলার লাইসেন্স পাওয়া যায় না। যদি সত্যিই এটা কবীর সুমন বলে থাকেন তাহলে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মত কুণাল ঘোষের। শুধু তাই নয়, ক্ষমা না চাইলে ব্যবস্থা তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়ার ইঙ্গিতও দেওয়া রয়েছে পোস্টে।

কবীর সুমনের এ ছাপার অযোগ্য ভাষায় কথোপকথনের বিরুদ্ধে সরব সবমহল। বিভিন্ন মানুষ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক প্রথম সারির সাংবাদিক। অনেকেই বলেছেন, কারও কোনো সাংবাদিককে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ইচ্ছে নাই হতে পারে। কিন্তু সেই প্রত্যাখ্যানের ভাষা অবশ্যই শালীন হওয়া উচিত। কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Bandopadhyay) কবীর সুমনের নাম না করে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি কবীর সুমনের গানের লাইন দিয়ে সেই পোস্টের শীর্ষক করেছেন। আর শেষ করেছেন কবীর সুমনের গানের লাইন দিয়ে। মাঝে তীক্ষ্ণ ভাষায় শ্রীজাত লিখছেন,
“আমরা শিল্পীকে সমস্ত ছাড় দিয়ে রেখেছি। গোড়া থেকেই ধরে নিয়েছি, শিল্পী অন্য গ্রহের জীব, তাই তার আচরণ বাকিদের সঙ্গে মিলবে না। এই ছাড় দিতে দিতে বিষয়টা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শিল্পীর সমস্ত রকমের অসভ্যতা, অন্যায় আর অপরাধকেও আমরা ছেড়ে দিতে শিখেছি, মেনে নিতে শিখেছি। কেননা, তিনি শিল্প করেন। তাই তিনি আমার মাথা কিনেছেন, আমার জীবন উদ্ধার করেছেন।… কেউ কেউ সারাজীবন অভব্যতা আর শয়তানি করে যাবে আর আমরা সুখী গৃহকোণে তার শিল্প ধুয়ে ক্ষমার জল খাবো, এসব দিন শেষ না হলে বিপদ আমাদেরই।”

এই অডিও টেপের কণ্ঠস্বর যদি কবীর সুমনের হয়, তবে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। এখন কবীর সুমনের বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন:Puri:সুখবর! ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির