“রাজ্যপাল যদি বিধানসভায় আসতে চান তাহলে তাঁর কাছে কারণ জানতে চাইব”- কয়েকদিন আগে বিধানসভায় গিয়ে আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের ডেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) রাজ্যের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক অভিযোগ করায় এই মন্তব্য করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Benarjee)। এর জবাবে শুক্রবার রাজ্যপালের পক্ষ থেকে একটি লম্বা লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে রাজভবন। বিবৃতি প্রসঙ্গে কিছু না বললেও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের আসা এবং বিবৃতি দেওয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বিবৃতিতে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন কীভাবে তাঁর কাছে কারণ জানতে চাইতে পারেন না স্পিকার! রাজ্যপাল রাজ্য আইনসভার সর্বোচ্চ স্তরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর আগে কয়েকটি অনুষ্ঠানে স্পিকার অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।
ধনকড় অভিযোগ করেন, কেন 07 ফেব্রুয়ারি 2020 এবং 02 জুলাই, 2021-এ বিধানসভায় (Assembly) রাজ্যপালের ভাষণের লাইভ কভারেজ (Live (Coverage) থেকে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল? 10 ডিসেম্বর, 2019 তারিখের গভর্নরের সাংবিধানিক বার্তা কেন বিবেচনার জন্য হাউসে রাখা হয়নি? বেশ কয়েকটি অভিবেশনের কার্যবিবরণী রাজ্যপালের কাছে কেন পাঠানো হয়নি? 05 ডিসেম্বর 2019 তিনি যাবেন বলার পরেও কেন বিধানসভার গেট বন্ধ ছিল? এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ বিবৃতিতে তুলে ধরেন রাজ্যপাল। যেগুলি এতদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনেও বলেছেন। একইসঙ্গে বিল নিয়ে স্পিকার ঠিক কথা বলছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক বিবৃতি দেওয়ার এতদিন পরে কেন আবার রাজ্যপালকে বিবৃতিতে দিতে হল তা নিয়ে সব মহলে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কোনও না কোনও ভাবে সবসময় খবরে থাকতে চান ধনকড়। সেই কারণেই পুরনো প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বজায় রাখতে চাইছেন তিনি। রাজ্যপালের সেদিনকার মন্তব্য নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূল নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে বলে জানিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়।










































































































































