শনিবার লিগের ফিরতি ডার্বি ( Derby)। করোনা ( Corona) ভীতি কাটিয়ে কয়েক ম্যাচ বাদে গত শনিবার ওড়িশা এফসির ( Odisha Fc) বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ড্র করে এটিকে মোহনবাগান( Atk Mohunbagan)। শনিবার ডার্বির মহারণ। এখনও পযর্ন্ত আইএসএলে লাল-হলুদকে তিন তিনবার হারিয়েছে বাগান ব্রিগেড। আর শনিবার সেই ধারাই বজায় রাখতে মরিয়া প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুরা।
শনিবার দ্বিতীয় পর্বে আবারও মুখোমুখি কলকাতার দুই প্রধান। যদিও এবারের ডার্বিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন চোখে দেখছেন হুগো। এদিন ডার্বি নিয়ে তিনি বলেন,” ডার্বির গুরুত্ব সব সময় আলাদা। ম্যাচটা আলাদা মোটিভেশনের সঙ্গে খেলতে হবে। আমরা এই ম্যাচটি জিতব, আমি নিশ্চিত। ”
শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪ গোলে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে এটা বাড়তি সুবিধা? জবাবে হুগো বলেন,” কোনও কারণ নেই প্রতিপক্ষকে দূর্বল ভাবা যেহেতু আমরা প্রথম লেগে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সহজে হারিয়েছি। বা তারা হায়দরাবাদ এফসির কাছে গত ম্যাচে চার গোল খেয়েছে। ওরা প্রতিশোধের আগুন নিয়েই নামবে মাঠে। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করতে আমাদের এই ম্যাচটা জিততে হবে শেষ চারে যাওয়ার জন্য।”
চলতি আইএসএলে একেবারেই ভালো জায়গায় নেই ইস্টবেঙ্গল। তার ওপর লেগের প্রথম ডার্বিতে জয় বজায় রেখেছিল বাগান ব্রিগেড। শনিবারের ডার্বিতে কী মোহনবাগান এগিয়ে? এই নিয়ে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেন,” ডার্বি বরাবর স্পেশ্যাল। বিশেষ করে আমাদের মত বাঙালিদের কাছে। সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্বই আলাদা। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল একবারও আমাদের হারাতে পারেনি। অপরাজেয় তকমা ধরে রাখাই এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। অনেকেই বলছেন, ওঁরা হায়দরাবাদের কাছে চার গোল হজম করায় আমরাই এগিয়ে। তবে ঘটনা মোটেই সেরকম নয়। বর্তমান স্কোয়াডের সবথেকে বেশি ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, ডার্বির কোনও আগাম ভবিষ্যৎবাণী হয় না। কেউ এগিয়েও থাকে না। আমরা শেষ দুই ম্যাচে ড্র করলেও ডার্বি জেতার বিষয়ে অবশ্য বেশ আশাবাদী। রক্ষণ যদি আঁটোসাঁটো রেখে যদি গোল হজম না করতে পারি, তাহলে গোল আমরা পাবই।”
আরও পড়ুন:Sc EastBengal: ইস্টবেঙ্গলের ডার্বির জয় মুশকিল, বললেন লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ