উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন, শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর প্রতিনিধি স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সোমবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মাঘ মেলায় তিনি জানান, “একজন সাধু কখনও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না।” বরং তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন ব্যক্তি যখন সাংবিধানিক পদে বসেন, তখন তাকে ধর্মনিরপেক্ষতার শপথ নিতে হয়, এমন অবস্থায় সেই ব্যক্তি কীভাবে ধার্মিক থাকবেন?
অভিমুক্তেশ্বরানন্দর মতে, একজন ব্যক্তি একসাথে দুটি শপথ নিতে পারেন না। একজন সাধু একজন মহন্ত হতে পারেন কিন্তু তিনি একজন সাধু থাকা অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।তাঁর কথায়, খিলাফতের এই কাজটি মুসলমানদের মধ্যে করা হয়, যেখানে ধর্মীয় নেতারা রাজা হতে পারেন বা ক্ষমতার উচ্চআসনে বসতে পারেন।প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোরক্ষনাথ মঠের প্রাক্তন অধ্যক্ষ যোগী আদিত্যনাথের বিধানসভা ভোটে লড়ার প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ।
তাঁর কথায়, জনগণের উচিত সঠিক লোক এবং সঠিক দলকে বেছে নেওয়া, যাতে সরকার গঠনের পর তাদের অনুশোচনায় পড়তে না হয়। ধর্মের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সব রাজনৈতিক দলই ধর্মের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছে। কোনো দল এগিয়ে আবার কেউ পেছনে। এখন বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, শুধু ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কথা বলার জন্য নিজেদের লোকদের ধর্মীয় স্থানে বসিয়ে দিচ্ছে। দেশে কিছু লোক আছে যারা ধর্মীয় গুরুদের অনুসরণ করে তাদের ভাষায় কথা বলতে চায়। প্রসঙ্গত, গোরক্ষনাথ মঠ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিষয়ে জড়িত।মহন্ত দিগ্বিজয় নাথ ১৯২১ সালে প্রথম কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.