সাতসকালেই পুরুলিয়ার বেলগুমার হোমগার্ডের কোয়ার্টার থেকে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নিহতের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, স্পেশাল হোমগার্ড কর্মী হেমন্ত হেমব্রম তাঁর ছ’বছরের সন্তান সোমজিৎকে খুন করে আত্মঘাতী হন৷ এমনকী স্ত্রীকেও খুন করতে চড়াও হয়েছিলেন হেমন্ত হেমব্রম। যদিও কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।
আরও পড়ুন:জানুয়ারিতে এবার রেকর্ড বৃষ্টি দিল্লিতে, জারি শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা
হেমন্ত হেমব্রম ওরফে বুড়ু এবং তাঁর স্ত্রী চম্পা আড়শার তানাসি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। একসময় মাওবাদীদের অযোধ্যা স্কোয়াডের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। স্কোয়াড থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যান হেমন্ত। ২০১৩ সালে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন হেমন্ত ও তাঁর স্ত্রী। এরপরই মাওবাদী কোটায় হোমগার্ডের চাকরি পান তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, বিয়ের কয়েকবছর পরই তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরে৷ মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত বলে জানা গেছে৷ সেই অশান্তি এতটাই চরমে ওঠে যে রবিবার গভীর রাতে স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা করেন হেমন্ত৷ কিন্তু চম্পা পালিয়ে যান৷ ঘরেই ছিল ছেলে৷ তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আপাতত হেমন্তের স্ত্রী চম্পাকে আটক করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ হত কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.