নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করা নিয়ে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া (Bhatpara)। রবিবার সকালে অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় (Bhatpara) নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে গেলে, তা নিয়ে বেধে যায় ধুন্ধুমারকাণ্ড। বিজেপির অভিযোগ, সে সময় সাংসদকে বাধা দেওয়া হয়। অর্জুনকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগও ওঠে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁকে নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে বাধা দিয়েছেন। এ নিয়ে হাতাহাতির পর্যায় গেলে অর্জুনের দেহরক্ষীরা শূন্যে গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ। যার জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া। শেষ পর্যন্ত র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
ভাটপাড়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) বলেন, “ভাটপাড়ার রাজনীতিতে অর্জুন সিং (Arjun Singh) একেবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছেন। তাই এখন নিজেদের ছেলেদের নিয়ে কিছু ‘নাটক’ করার চেষ্টা করছে।” তিনি আরও বলেন,”নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে শূন্য গুলি চালাচ্ছে যাতে মানুষ সন্ত্রস্ত্র হয়। এইসব মস্তানিতে মানুষ আর ভয় পায় না। নিজের লোককে দিয়ে গোলমাল করে যে কাণ্ড ও করছে তাতে এই সন্ত্রাস কিন্তু ওর দিকেই ফিরবে।”
আরও পড়ুন-জয়প্রকাশ-রীতেশকে শোকজ, বিস্ফোরক শান্তনু বললেন, সব বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করব
এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একজন সাংসদকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটা বোধ হয় বাংলাতেই সম্ভব!’ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভাটপাড়ার গোলমাল নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Joytipriyo Mallik) বলেন, ওই সংঘর্ষ তৃণমূল কংগ্রেস করেনি। এসব ওর লোকেরা করাচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার অর্জুন সিংকে চেনেন না। তাই ওকে সার্টিফিকেট দিয়ে যাচ্ছেন।”













































































































































