প্রিয় ভোম্বলদার মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানে, ফুটবল জগতের বিরাট ক্ষতি,বললেন সুব্রত ভট্টাচার্য, অ‍্যালভিটোরা

0
3

ভারতীয় ফুটবল আবারও হয়ে পড়ল অভিভাবকহীন। প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক (subhash bhoumik) । ময়দানের ভোম্বলদা। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানে। ফুটবল জগতের বিরাট ক্ষতি। বললেন সুব্রত ভট্টাচার্য।

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সুভাষ ভৌমিক। গত সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। প্রিয় ভোম্বলদার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত ময়দানের বাবলু দা। এদিন তিনি বলেন,” এটা খুবই মর্মান্তিক। এত বড় ফুটবলারের চলে যাওয়া মানা জায়না। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ময়দানের বিরাট ক্ষতি।”

 

২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলকে আশিয়ান কাপ চ‍্যাম্পিয়ন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। লাল-হলুদকে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুভাষ স‍্যারের মৃত্যুর খবর পেয়ে অবাক আশিয়ান কাপ চ‍্যাম্পিয়ন দলের দুই ফুটবলার অ‍্যালভিটো ডিকুনহা এবং দীপঙ্কর রায়।

আশিয়ান কাপ চ‍্যাম্পিয়ন দলের সদস্য আলভিটো বলেন,” এটা সত‍্যি মানা যায়না। আমি এখন গোয়াতে আছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওনার পরিবারের জন‍্য সমবেদনা রইল।”

ফুটবল জীবনে সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়েই বেশিরভাগ সময় খেলেছেন আরেক প্রাক্তন ফুটবলার দীপঙ্কর রায়। সুভাষ স‍্যারের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বলেন,” এটা সত‍্যি মানা যায়না। দু’দিন আগেও ওনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নিলাম। কিছু বলার নেই। সুভাষ স‍্যার ফুটবলারদের বুঝতেন। তাই হত ওনার কোচিং-এ এত সাফল্য পেয়েছি।”

আরেক প্রাক্তন ফুটবলার গোলরক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল বলেন,” এটা খুবই দুঃখজনক। একটা নক্ষত্রপতন হল। ”

ফুটবলার হিসেবে যতটা সফল ছিলেন, তার থেকেও অধিক সফল ছিলেন কোচ হিসেবে। গুরু প্রদীপ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের পদাঙ্কনে নিজেকে প্রশিক্ষক হিসেবে তৈরি করেছিলেন। এবং মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ক্লাবে সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন। তবে কোচ হিসেবে সুভাষের সেরা জয় হবে ২০০৩ সালে আশিয়ান ট্রফি। সুভাষ ভৌমিকের এই প্রয়াণে স্বভাবতই শোকস্তব্ধ ভারতীয় ফুটবল মহল।

আরও পড়ুন:“ক্রীড়াগুরু” সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীর