মাঝ আকাশে মুখোমুখি ইন্ডিগোর ২ বিমান! সংঘর্ষ এড়িয়ে রক্ষা পেল ৪২৬ বিমানযাত্রী

0
3

বরাত জোরে রক্ষা পেল কয়েকশো প্রাণ। টেক অফের পরেই মাঝ আকাশে প্রায় মুখোমুখি চলে এসেছিল দু’টি যাত্রিবাহী বিমান। ৩০০০ ফিট উচ্চতায় যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বড় রকমের বিপদ। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেল ৪০০-এর বেশি বিমানযাত্রী। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরের রাডার কন্ট্রোলারের তৎপরতায় দু’টি বিমানের যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন। তদন্তের পর ডিজিসিএর রিপোর্টে এই বিস্ফোরক তথ্য স্বীকার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই দু’টি বিমান এতটাই কাছাকাছি চলে এসেছিল যে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। কিন্তু রাডার কন্ট্রোলারের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত দুই বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ আটকানো যায়। রাডার কন্ট্রোলারের নজরে বিষয়টি আসার সঙ্গে সঙ্গেই তৎক্ষণাৎ তিনি দুই বিমানের পাইলটকে জরুরি ভিত্তিতে সতর্ক করে দেন। এর ফলে দুই বিমানের প্রায় চার শতাধিক যাত্রী সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।

ডিজিসিএর প্রধান অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু থেকে একটি বিমান কলকাতার উদ্দেশে ও অন্য বিমানটি ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা হয়। দুটি বিমানই ছিল ইন্ডিগো সংস্থার। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু’টি বিমান একদম কাছাকাছি চলে আসে। কীভাবে দু’টি বিমান এত কাছাকাছি চলে এল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ। একইসঙ্গে জানিয়েছে, এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিজিসিএর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের উত্তরের রানওয়েটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বিমান ওড়ার জন্য। দক্ষিণে রানওয়েটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বিমান অবতরণের জন্য। কিন্তু কিছু পরে শিফট ইনচার্জ দক্ষিণের রানওয়েটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি সাউথ টাওয়ারের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে জানাতে ভুলে যান। সেজন্য দুটি বিমানকে একই সময়ে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ঘটনার দিন বিমানবন্দরের সাউথ ও নর্থ টাওয়ারের কন্ট্রোলের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া ছিল না। সেই কারণেই এমন উদ্বেগজনক কাণ্ড। ভাগ্যক্রমে বিরাট দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। প্রাণে বেঁচেছেন দুই বিমানের মোট ৪২৬ জন।

আরও পড়ুন- সাড়া দেয়নি কংগ্রেস, গোয়াতে জোট গড়ে লড়বে এনসিপি-শিবসেনা