দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান এবছরও প্রধান অতিথিবিহীন

0
3

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ।যার নিট ফল, এবারও সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে থাকছেন না কোনও বিশেষ অতিথি।যদিও প্রথমে ঠিক ছিল মধ্য এশিয়ার পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। কিন্তু প্রতিদিনই যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে শেষমুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করল।
এবছর ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে চমক দিতে একসঙ্গে কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের একসঙ্গে হাজির করার পরিকল্পনা ছিল মোদি (Narendra Modi) সরকারের। এটা বাস্তবায়িত হলে এই প্রথমবার একসঙ্গে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এদেশের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে উপস্থিত থাকতেন। এটি নিঃসন্দেহে একটা নজিরবিহীন ঘটনা হতো। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো করোনা। পাল্টে গেল ছবিটা। উল্লেখ্য, গত বছরও সাধারণ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কিন্তু কোভিডের কারণে শেষমুহূর্তে সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্যারেডে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এই পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) -র সঙ্গে একটি স্ট্র্যাটেজি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু তারা ভারতে আসতে পারছেন না, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন তাঁরা, বুধবার বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এরই পাশাপাশি, করোনার কারণে কুচকাওয়াজে অতিথি সংখ্যাও কমানো হয়েছে। গত বছর অতিথি সংখ্যা যেখানে ২৫ হাজার ছিল সেখানে এবছর অতিথি সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়েছে ৮ হাজার। কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া সমস্ত অতিথি ও জওয়ানদের মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রবেশ পথে সকলের থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে। কোনও আমন্ত্রিত অতিথির করোনার উপসর্গ থাকলে তাঁদের জন্য আলাদা কোভিড বুথও করা হচ্ছে। এদিকে ২৬ জানুয়ারি সকালে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা থাকায় সকাল ১০টার পরিবর্তে সাড়ে দশটায় কুচকাওয়াজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে এবছরও ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠান যে জৌলসবিহীন হবে তা বলাই যায়।তবে জোর দেওয়া হয়েছে কড়া কোভিডবিধির ওপর।