গালভরা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। কথা দিয়েছিলেন করোনা ভ্যাকসিন তৈরীর জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড(pm cares fund) থেকে ১০০ কোটি টাকা দেবেন তিনি। তারপর দেড় বছর পার হয়ে গেলেও সে টাকার কোনো হদিস নেই। টাকা কে পেয়েছে? তা কেউ জানে না। তথ্য জানার অধিকার আইনে এই ঘোষণার বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেরিয়েছে প্রশ্ন, জবাব দিতে রাজি হয়নি কেউ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর(pm office), নীতি আয়োগ থেকে আইসিএমআর দায় এড়িয়ে এগিয়েছে সকলের। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রক(Health Ministry) জানিয়েছে টিকার জন্য একটি টাকাও দেয়নি পিএম কেয়ার্স ফান্ড। এই ঘটনার জেরে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এলো পিএম কেয়ার্স ফান্ড।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে ২০২০ সালের ১৩ মে যে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সে টাকা গেল কোথায়?
ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার লোকেশ বাত্রা সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তর চেয়ে আরটিআই আইনে আবেদন করেছিলেন। তবে তার প্রশ্নের জবাবে হাত তুলে দেয় আইসিএমআর, প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি, নীতি আয়োগও। সবশেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, তারাও পায়নি ওই ১০০ কোটি টাকার তহবিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের দাবি, বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যে সবথেকে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি এটি। সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত করা উচিত। এব্যাপারে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়েরও।
আরও পড়ুন:Train Accident: ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! রুটিন মেনে হয়নি ইঞ্জিনের পরীক্ষা, জানাল রেল
উল্লেখ্য, পিএম কেয়ার্স ফান্ড গঠন করার প্রথম পাঁচ ছয় দিনের মধ্যেই এখানে টাকা জমা পড়েছিল ৩ হাজার ৭৭ কোটি। এরপর থেকে এই তহবিলের আর কোন হিসেব পাওয়া যায়নি। আদালতে এ নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পর মোদি সরকার জানায় এই ফান্ড সরকারি তহবিল নয়। এমনকি জানানো হয় এই ফান্ড কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের আওতার বাইরে। সরকারের তরফে জানানো হয় এই ফান্ডের টাকায় প্রথমে ভ্যাকসিনের সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি ডোজ কেনা হয়েছিল। টিকাকরণ শুরুর সময় অর্থমন্ত্রকও জানায়, ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে ওই তহবিল থেকে। পি এম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইট দেখাচ্ছে ভেন্টিলেটর থেকে ভ্যাকসিন ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে ব্যয় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।